তোমার প্রশ্ন ছিল—মাছদের শীত নিয়ে হাঁসের এতো কৌতুহল কেন!
আমি বাবুই-জ্বরে নিমগ্ন তখন;
পুকুরে বিস্তর জলখেলা।
স্বাদে তুলনা তোমার—জুঁইয়ের কাছাকাছি। শহরের রঙ জ্বেলে ভেসেছো বেশ;
কেন খোঁজো ঘুম। প্রশ্নটা তবু তোমার বাহুতে থেমে আছে ভুক!
তিলোত্তমা—আমি কালোসুখে শোক পুষি; আন্ধরে বিছানা কাঁদে না আর...
কবিতা নিভে না মোমের অসুখে;
তোমার জংশনে লিখেছিলাম—সে কুয়াশা-গাড়ি।
রিমুভ রোডে রিকশা তোমার এলোমেলো খুব; সেই তো শহর—
আমাকে চেনে বেহুঁশ ব্রা’র শরম।
—জানে না বহুরাত আমিও
ঘুম বেচে শিশিরোগ ছানি...
রূপের শহর কাছে-দূরে থাকে; পিঁপড়া-শিশু কাউকেই ভাঙিনা
আর—বিনাবাক্যে একটা বালিশ খুঁজি
যার নরম পালিশে জড়িয়ে থাকবে তিলোত্তমার হাত
—রূপকথার ছবি!