তোমাকে ছুঁয়ে ফেলার বেদনা লেপ্টে থাকে শরীরে,
বিস্তৃত বিভ্রম ও মন্থর মহল্লায় কবুলের গর্গল হাঁটে
উজ্জ্বল দুপুরের ধ্বংসাবশেষ প্রবাহিত হয় সন্ধ্যা অবধি
থইথই করে ডাক দেয় তুমুল অন্ধার
শতাব্দীর রোগশয্যা থেকে বেখেয়ালে কেঁদে ওঠে কেউ।
কে? মুসকিলের লজেন্স মুখে হাসি ভাসে
অস্থির তুফান ছুটে শিশির মগ্ন শীতের বাগানে
আমার মগজে তুমি; আলো বহুল মুদ্রিত হাততালি
রহস্যমুখে ডুবে যায় নির্লোভ—অসহ্য মন্ত্রণা আহার।
নেশাতুর সন্ধ্যা; রাত্তিরে ফোঁপানো মিথ্যায়
ঢেকে যায় বিস্ময় কোরাস। আলেয়ার মুকুট ভয়ে
নুয়ে আসে লাঙলের কফিন। রাত শেষে
কথাকাতর স্পর্শ আবার সয়লাব হয়ে যাবে?
ডুবিয়ে দিতে উহ্য নাবালক; উল্টানো খই ফুলের
নিবেদিত কিশোরী মুখ—ক্ষুধার্ত বাতাসে ভাসাবে পরম।
লেপ্টে থাকো কৌরবালিঙ্গন, সংগ্রহ ছুতায় চুপচাপ প্রচারিত হও;
ব্যথাসুখের তন্দ্রাগ্রস্থ অসুখে সজ্জিত করি নিখুঁত চুমুদল।