এরকম নয়—ফুটফুটে অন্ধকারে তাজা হয়ে ফুটে
আরো গোপনে এসো। পিছন পথে ঘুমঘুম হাতে
নিয়ে পাখা থেকে উড়ে, সিঁদকাটা ভোরে, মগ্ন গ্রামে...
জয়িতা বলেছিলো—
নিভু নিভু ভোর থেকে দুপুরের দিকে
চোখ রেখে পথে পথে ধুলো ফের ডাকে
চলে এসো একদিন ভিজে পথ থেকে
আমি ঠিক ছুঁয়ে দিবো তোমাদের নাকে।
বাদামী স্মৃতিরা ছিলো সেরকম; আর মেঘদল
অভ্রের তুমুল আদ্রতায় রেখে জয়িতার কাছে
নিয়ে গেছে কৈশোর হারানো রাঙা চোখ যন্ত্রচোখে
কী অদ্ভূত রৈখিক থেকে সন্ধ্যের শত তীব্রতায়...
জয়িতা বলেছিলো—
রঙ হলে আলোগুলো নিভে যায় ঠোঁটে
মনে আসে শাদাঘুম রাত আসে স্যুটে
সেইমতো ভেঙে ভেঙে নিয়ে যায় দূর
হাত থেকে খসে যায় নীল সব সুর।
অন্যদের মতো জ্বলে ছিলো ঢেউয়েরা; সতীর্থরা
গভীর আলোয় হারানো মুখ থেকে ছড়িয়েছিলো
থরথর বীণ। সকালের ডুব থেকে বুদ্বু্দ
এলো- তখনো তেমন বাজছিলো পৌষের গান...
জয়িতা বলেছিলো—
দিনে দিনে জমা হবে আরো আরো ধুম
হাতে হাতে লেখা হবে কুসুমের ঘুম
মুখে মুখে বাঁক নিবে সময়ের সিঁড়ি
নদী থেকে পরি উঠে চিনে নিবে ঘড়ি।
যাচ্ছিলো মাঘের দিকে আদ্রতা নেমে—শীত পোড়া
গন্ধে দ্রবণ সংশয়ে উজ্জ্বল হয়ে আরো কঠিন।
জয়িতার গায়ে মিথ্যের কুটুম ছুটছিলো; সরু
দরজার পর্দা থেকে উড়ে এলো গেঁথে রাখা থই
জয়িতা বলেছিলো—
গোপন খবরে ছেপে দিবে শীত আর
মৃত্যুর মন্দিরে ছুটি দিবে মন্ত্র-হার
খড় থেকে সুঁই-সুতো নিয়ে নিবে চুলে
গানের দুপুরে ডুবে শীত যাবে ভুলে।
নৃত্যের কব্জিতে রঙ হেলে গেলে, ছই উঠে যাবে
উত্তর থেকে দক্ষিণে পুড়ে পুড়ে সুবাসিত হবে
আরো অনেক কূলেরা নদী হতে গিয়ে ফিরে যাবে
অন্ধ সহিসের বাড়ি। ঘোড়ার ঘড়িতে জ্বলে যাবে
মানুষের গ্রাম।
জয়িতা বলেছিলো—শীত পুড়ে গেলে
গৃহহারা নদী থেকে খুঁজে নিবে জেলে।