অনার্যের সাইকেল

অনার্যের সাইকেল
কবি
প্রকাশনী অনুপ্রাণন প্রকাশন
প্রচ্ছদ শিল্পী রাজীব দত্ত
স্বত্ব সানাউল্লাহ সাগর
প্রথম প্রকাশ অক্টোবর ২০২১
বিক্রয় মূল্য ২০০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নিজস্ব অন্ধকার থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঢেউ—চারিদিকে অনাহুত স্বপ্নের প্রলাপ। তুমুল তীব্রতায় প্রবাহিত স্বপ্নের মতন হাজির হয় আর্য-অনার্যের প্রতিবিম্ব। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে অসমাপ্ত সিঁড়ি। সেখান থেকেই শুরু হয় ‘অনার্যের সাইকেল’। চলতে থাকে। চলতেই থাকে। সহস্র অশ্বখুর আর মায়ার বাঁধন কেটে নিজস্ব আয়নার দিকে। এমন বিসর্জন কিংবা আত্মআবিষ্কারের প্রলোভন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা অঞ্চলের পুরাতীর্তি ও সাগরীয় সনেটের কাক্সিক্ষত একগুচ্ছ সিঁড়ি। নির্দ্বিধায় উড়াল দেয়া যায় সে পথে—ফেলে আসা ঠিকানার দিকে কিংবা সমসাময়িক তৈলচিত্রের অভ্যন্তরে। প্রস্তুুতি পর্ব পেরিয়ে আসা অগ্রসর ক্ষুধার পথিককে এই সচেতন নির্মাণের তীব্র দহন ও সাইকেলের রূপ-রস আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।

ভূমিকা

শুরুর কথা

নিজের কাছে ফিরতে দেরি হয়ে যায়। তবুও ফিরতে হয়। হাত-পা কিংবা চোখের সামনেও নিজেকে ছোট লাগে। চুপচাপ নাকের অভ্যন্তরে বসে থাকি। চিন্তার পুকুরে ঘেউ দেয়া কান্নাকে জপ্টে ধরে থাকি। নিজস্ব কোরাসে লেপ্টে দিই অনাগত সবুজের মৃত্যু সংবাদ। এই তো সম্ভোগ লিপ্সার প্রণয় বিন্যাস। বিস্তৃত কৃতিকারদের প্রেমালাপ।

নিজস্ব এইসব প্রেমালাপ থেকে জীবনের দূরত্ব কতোটুকু? কিংবা জ্ঞানের মুখোশ ফেলে দিলে ছাতিম গাছের কাছাকাছি কারা থাকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমার কিংবা আমার কবিতার জানা নাই। এখানে ফুটপাতহীন রাজপথে হেঁটে আসা তারুণ্যের গন্তব্যরা আছে। যাদের পোশাকে নির্মিত হয় জীবনের লোভ! কিংবা অনাগত চোখের গভীর কোনো বৃত্তান্ত মুখর সন্ধ্যা-রাত কিংবা গভীর রাত।

কথা হচ্ছে—এগুলোকে কি সনেট বলা যায়? হয়তো হ্যাঁ। হয়তো না। কিন্তু সনেটই কেন বলতে হবে? আর সহীহ সনেট হওয়ার জন্য যেসব লেজ-কোর্তা থাকা জরুরী সেসব সব ক্ষেত্রে রাখাকে সবাই কর্তব্যজ্ঞান করবেনা এটাও স্বাভবিক। আমি বিশ্বাস করি আশ্চর্য বা অস্বাভাবিক বলে কিছু নেই। জগতে যা ঘটে সবই স্বাভাবিক। তবে এ প্রশ্ন হওয়াটাও সহজ যে এগুলো কবিতা কিনা? আমি এগুলোকে কবিতা বলছি—আপনি নাও বলতে পারেন। কারণ কোনো কিছু মানতে বাধ্য করানো শিল্পি বা শিল্পের কাজ নয় বলে আমি মনে করি। বরং এটা বিশ্বাস করি যে, চিন্তায় নামানো শিল্পির কাজ। সে কারণে ওই অর্থে ডিসিশান দিতে চাই না। আবার কারো ডিসিশানের অপেক্ষাও করি না। কারো মনে হতে পারে সনেটের আদলে এগুলো সচেতন নির্মাণ। আমি বলবো জগতের কোনো কিছুই নির্মাণের বাইরে নয়। কেনো শরীর এমনি এমনি তৈরি হয় না। তেমন আমি কিংবা এই খণ্ড খণ্ড আমিও নির্মিত সত্য—ঠিক আমার ছায়ার মতোন।

সানাউল্লাহ সাগর
২৫ মে ২০২১ খ্রি.,
ঝিগাতলা, ঢাকা।

উৎসর্গ

পাহাড়ের খাদ থেকে উঠে আসা একদল বিড়াল নামতে নামতে অদৃশ্য হয়ে গেলো। বিপরীত নৌকায় দাঁড়ানো আমি। মনে হলো এবার বাক্সো বন্দি হই। উথলে যাই পরিভ্রমণে। যেখানে ভ্রমের সৌন্দর্য আদুরে গলায় ডাক দেয়—পিপাসা নিয়ে উচ্চস্বরে কাঁদা যায়। কান্নার ছন্দে ভেঙে দেয়া যায় পরিপাটি অসুখ। অসুখ—বড় বান্ধব আমার।

দস্যি কৈশোর পেড়নো আগুন নিয়ে খেলছি। দ্যাখো সানাই নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার তৈরি হচ্ছে। অথবা বোবা হয়ে যাচ্ছি কাতুকুতুর স্বভাবে...

কবিতা

এখানে অনার্যের সাইকেল বইয়ের ৫টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
কুর্নিশ
কেবলা পরিবর্তন
ঘাতক
সাক্ষী
স্নান