একদম হুটহাট তোমার গন্ধ পাই। ধরো সকালে মাছ বাজারে ঘুরে ঘুরে বউয়ের আদেশ মতো তাজা ইলিশ খুঁজছি, দু-একটা কাতল মাছের কানসা টানাটানি করে তাজা কিনা পরীক্ষা করছি। এর-ই মধ্যে তোমার গন্ধ টের পাই! ভেসে যায় মাছ-বাজার। অথবা পাবলিক বাসে মানুষের যুক্তিহীন ঘামের গন্ধে বমিবমি উৎসব শুরু হচ্ছিলো—তখন কোত্থেকে তোমার গন্ধ এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে। আমি ভেতরে ভেতরে পুড়ে যাই। অশ্লীলও হই কিছু। অস্থির হই এতোটাই যে চোখের ডোবায় অগনিত নদী সাঁতরাতে থাকে। কোনো বিঘ্ন ছাড়াই উড়ে যাই তোমার লজ্জাবনত স্তন শয্যায়—নাভির শেষ স্তর ছুঁয়ে লাল অন্তর্বাসের আড়ালে। অথচ কত ছুটিবার চলে যায় একবারও দেখা হয় না আমাদের। ভোটাভোটির ভয় ছেড়ে তুমিও আসো না নাকের কাছাকাছি। তবু আমার কাছে তোমার নাক আর বিজলি ছড়ানো চোখ জমা হয়। দরিদ্র চাষীদের গামছায় আমি তোমার গন্ধ জমিয়ে রাখি।
কবিতাটি ৩৮৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২৩/০৬/২০২৩, ১৪:৩২ মি: