নিজেকে মনে হয়, বড় ভাগ্যবান!
একাত্তরের মুক্তিসেনা হয়ে আজ-
দু’হাজার চব্বিশ সালে দাঁড়িয়েছি
তোমাদের পাশে-একই আঙিনায়।
বলে যাচ্ছি হঠাতে হবে স্বৈরাচার;
একতাবদ্ধ ভাবে গড়ো প্রতিরোধ।
পীড়ক পারবেনা করতে সুবিচার!
মাঠ তৈরী করে বিলাও অধিকার।

মিছিলের উত্তপ্ত লাভায় ভষ্ম হবে
জালিমের দম্ভ আর স্বরচিত দূর্গ!
দ্রোহীদের সুনামীতে ভেসে যাবে
পাপীদের তৈরী তুচ্ছ কাঁচের স্বর্গ!
শহীদের জননীদের, ক্রন্দন আর
খেদ! শুনে-আরশে উঠেছে ঝড়!
মহানস্রষ্টার রুদ্রবাণে বিণাশ হবে
পামরের অনুচরদের জলসা ঘর!

আকাশে ভাসছে ঘনকালো মেঘ!
বাড়ছে সেই সাথে হাওয়ার বেগ,
ছুটেছে তাদের আজ সুরার নেশা
জেগেছে বিশ্ববাসীর সুপ্ত বিবেক!
দাবানলের অগ্নিতে ঝলসে গেছে
কুচক্রীদের কালো ডানা নিমেষে
অবশেষে ভেসে যাবে কৃষ্ণ হ্রদে!
জনতার অভ্যুত্থান মারবে পিষে।

রাজপথে ফুঁসছে দ্রোহীর মিছিল!
বুলেটে নিচ্ছে কেড়ে সহস্র দিল!
তবু, তরুণ যুবক চায় অধিকার!
ছলিত জনতাও চায় না অনাচার,
ঘিরে ধরছে সঙ্কট-কখন কি হয়-
দৃঢ়সন্ধ দ্রোহীরা পেতে চায় জয়।
একাত্তরের সাথে পাই ঢের মিল-
এবার তাড়াতে হবে শকুন-চিল।

রচনাকাল=০৯/০৭/২৪