পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হবার পরেও
যাদের মনের মণিকোঠায় বেঁচে থাকে সিরাজউদ্দৌলা!
জালিমের কাছে আত্মসমর্পণ না করে যে বীর সিপাহী
জীবনকে বাজি রেখে, ঘোষনা দেয় দেশের স্বাধীনতার!
যে দেশের কিশোরগণ, বাড়ি থেকে পালিয়ে স্বাধীনতা
অর্জনের প্রত্যয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে তুলে নেয় হাতিয়ার!
একাত্তরের সেই কিশোর মুক্তিযোদ্ধারাই পড়ন্ত বিকেলে
যখন ভাবে, আসন্ন প্রায় ”গাজোয়াতুল হিন্দ“র প্রাক্কালে,
কলম যদি হয়ে যেত হযরত আলী (রাঃ)’র জুলফিকার!
সেই দেশের কাদের উপর তোরা রাঙাস তোদের চোখ?
যে দেশের মানুষের ঘরে জন্ম নেয়, শহীদ জিয়ার মত
স্বাধীনতার ঘোষক, মেজর জলিলের মত সিপাহশালার;
যে দেশে বেঁচে আছে মীরমদন-মোহনলালদের সন্তান।
আছেন সেই-অকুতোভয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমান;
যিনি সম্পাদকদেরও সম্পাদক, অত্যাচারের প্রতিবাদে
আদালত চত্বরে যাঁর দেহ থেকে ঝরে যায় অজস্র খুন!
প্রবাস থেকে এখনো পিনাকী-কণক সহ অনেকেরই
কন্ঠে উচ্চারিত হয় বিদ্রোহের জ্বালাময় অগ্নিস্ফুলিঙ্গ!
জন্মে স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে সেই সব আবু সাঈদ-মুগ্ধরা!
যারা জালিমের বুলেটে পায় না ভয়, বরং ধারণ করে
নিজের বুকে দেশের স্বার্থে হাসিমুখে-অগণিতজন!
জন্ম নেয় ত্যাগী-নির্ভীক বেশুমার অগ্নিকন্যাগণ।
সে মাটির সন্তানদের করো না কখনো অবমূল্যায়ন!
তারা জান দিবে-তবুও দিবে না আত্মসম্মান বিসর্জন।
ওরা মুক্তির ঝান্ডা হাতে-বিদ্রোহ করে বসে যখন তখন!
যে দেশের জনগণ মীরজাফরকে ঘৃণা করে বারংবার;
যাদের কাছে গোলামীর চাইতে জান্নাত বেশি মূল্যবান।
তাদের হত্যা করে রুখতে পারবি না বিজয়াভিযান।