একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক মুক্তির যে ঘাটতি ছিল,
চব্বিশে এসে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সেই অপূর্ণতা দূর হয়েছে।
তাঁরা সম্মিলিতভাবে পালন করেছেন পরিপূরকের ভূমিকা।
জাতির মাঝে জেগেছে নতুন আশার আলো।
তাই জাতি জানায় তাদের অভিনন্দন।
বায়ান্ন না এলে যেমন একাত্তর আসতো না,
তেমনি-একাত্তরে লাল-সবুজ পতাকার জন্ম না হলে নব্বই আসতো না।
দুই হাজার চব্বিশ সালে এই পতাকাকে রক্ষার প্রয়োজন দেখা দিত না।
চব্বিশ কি তবে একাত্তরকে মুছে দেবার জন্য!
একাত্তর ছিল স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ,
আর চব্বিশ ছিল একটা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য গণঅভ্যুত্থান।
চব্বিশে হয়েছিল রাজপথ রঞ্জিত আর একাত্তরে সৃষ্টি হয়েছিল রক্তের সাগর!
চব্বিশকে-একাত্তরের প্রতিশোধ নয়, পরিপূরক ভাবতে হবে।
নইলে ভুল নয়, অন্যায় হবে।
ইদানীং, কারো কারো মাঝে এমনই একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায়,
যা সত্যিই বড়ই বেদনাদায়ক! ভীষণ আত্মঘাতী!
জমিনে কার কি ভূমিকা, আল্লাহ্'র কাছে লিপিবদ্ধ আছে,
আবার কারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সাহসী যোদ্ধা,
সেটাও আল্লাহ্'কে বুঝিয়ে বলতে হবে না,
কারণ, সবই আছে তাঁর নখদর্পণে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে যারা উপস্থিত না থেকেও
জনগণের অবদানকে অস্বীকার করেছিল,
পরবর্তীকালে তাদের প্রাপ্য তারা পেয়েছে!
তেমনি, একাত্তরকে অস্বীকার করার জন্য যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে!
তবে, স্রষ্টা তাদের প্রাপ্যটা দিতেও কার্পণ্য করবেন না।
কারণ, একাত্তরের বিজয় আল্লাহ্'র অনুমোদন ছাড়া সম্ভব হয় নাই।
একাত্তরের ভূমিকার জন্য হানাদাররা ভুল স্বীকার করেছে, ক্ষমা চেয়েছে।
অথচ. তাদের দোসররা আজ পর্যন্ত সেই অবস্থানে আসতে পারেনি!
যদিও সে কারণেই তাদের অনেক খেসারত দিতে হয়েছে।
আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে আরো দিতে হতে পারে।
কারণ, তারা আাল্লাহ্'র ফয়সালাকে মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে!
তারা যতই মুখে সত্যের পক্ষশক্তি বলে দাবী করুক!
আসলে এসবই তাদের নিন্দনীয় ভণ্ডামী!
লক্ষাধিক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দেশের সবারই জেনে রাখা ভালো,
ইতিহাস কোন মানুষের অঙ্গুলিহেলনে ক্রিয়াশীল হয় না-
একমাত্র বিশ্বস্রষ্টা মহান আল্লাহ্ ব্যতীত।