সতীদাহের মতো জ্বলন্ত চিতায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে নিভে গেছে আমার অস্তিত্ব।
নিভে গেছে আমার শিরা উপশিরার কম্পন।
শান্ত শীতল হয়ে গেছে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন।
সেই ভস্ম হৃৎপিণ্ডের কাছে আমি যখন অবনত শান্তনা হয়ে মাথা ঠুকে ঠুকে ক্লান্ত হই।
আমি যখন জাপটে ধরি মৃত্যুকে।
আমি যখন মহাপ্রলয়ের বক্ষ জুড়ে তোলপাড় করি পৃথিবী।
আমি যখন গগন বিদারী চিৎকার করি।
আমি যখন তোমার একচ্ছত্র আধিপত্যের বুকে চাতক পাখির মত হাঁসফাঁস করি।
কর জোরে আর্তনাদ করি।

তুমি তখন এক সমুদ্র শীতল জলোচ্ছ্বাস মুষ্টিবদ্ধ করে রাখো তোমার পাশবিক রক্তচক্ষুর ওপারে।
এক সমুদ্র আশ্রয় কারা বন্দি করে রাখো তোমার ব্যক্তিগত স্বার্থের কাছে।
নীল বিষাক্ত তাচ্ছিল্যের কাছে।

নিশিতা!
তুমি একটা হিপোক্রেট।
তুমি ভালোবাসার অধিকার খর্ব করো প্রতিনিয়ত।
তুমি একটা বিশ্বাসঘাতক।
তুমি অসংখ্য প্রেমিকের নকল প্রেমের স্বাদ গ্রহণ করো প্রতিনিয়ত।
তুমি তোমার বুকের পাঁজরে ঘুমিয়ে থাকা জড়োসড় শিশুটিকে তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করে প্রমাণ কর পৃথিবীতে বিশ্বাসের কোন অস্তিত্ব নেই।

"অস্তিত্বহীন বিশ্বাস"
- স্যামুয়েল রনো -