মাত্র তেইশ বছরের তৈরি সাহিত্যাকাশের নিচের জমি ছিল
মা-মাটি- আর মানুষের গন্ধে ভরপুর!
চুরুলিয়ার পাহাড়ী, পাথুরে মাটি যতই রুক্ষ ,অনাবাদী হোক না কেন,
খড়ে ছাওয়া ঘরের একদিকে রাজা নরোত্তমের গড়,
দক্ষিনে পীরপুকুর, পুবে হাজী পালোয়ানের কবর আর পশ্চিমে
ছিল মসজিদের পবিত্রতা । সে মাটি ছিল বড় আপন ।
মক্তব, মাজার, মসজিদ পার হয়ে রাঢ় বাংলার কবিতা,গান, লেটোদল,
তোমাকে মাটির কাছাকাছি বড় আবিষ্ট করে ধরে রেখেছিল ।
তোমার কবিতা জুড়ে তাই মাটির এত সোঁদা গন্ধ, বৈচিত্র আর গভীরতা !
হলাহল নাশ করে ‘বিদ্রোহী’, ‘ধুমকেতু’ হয়ে জাগালে মাটিকে, মানুষ কে ।
কবিগুরুও তোমার কবিতার মাটির উর্বরতা, ফুল ফোটানো,
ফসল ফলানোর আকুতিতে আপ্লুত হয়ে – ‘বসন্ত’তে
নিজের দস্তখত দিয়ে অকুন্ঠ আশীর্বাদের ঢল নামিয়েছিলেন ।
দেশের মাটিকে তুমি তো সোনার চেয়েও খাঁটি ভেবেছিলে !
মাটিকে ভালবাসতে বলেই তো কবরে থেকেও
মোয়াজ্জেনের আজান শোনার এত আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রাণে ।
সেই মাটিতে, প্রমীলার পাশেই নিজের স্মৃতি-সমাধি-কবিতায় শুয়ে শুয়ে
আজও কি ভাবো দুই বাংলার মাটিকে কিভাবে মিলিয়ে দিতে পেরেছ তুমি!
----------