-

স্টাফরুমেতে রাজা হলেন নটবরলাল মিশ্র!
ভাবটা দেখান – ঞ্জানপন্ডিত! নাসা কিংবা ইসরো!
কমবয়সে প্রথম যেদিন এলাম ইস্কুলেতে
এসেই শুনি – কাল প্রমোশন, বাকী শুধুই পেতে।
চেহারাতে ফিট, সাজেন–গোজেন, দাড়ি কামান রোজ।
প্রমোশনটা পেলেই দেবেন জম্পেশ এক ভোজ।
ভাবনা-চিন্তা আপার ক্লাসের, পেলেই নিজের পদ
চালু করবেন নতুন আইন, পুরনো সব রদ।
বেয়ারা,পিওন,ঢাকা দেওয়া গ্লাস,থাকবে হাতের কাছে।
সাহায্যকারী তিন লেডী অ্যাসিস্ট্যান্ট! ভুল হয়ে যায় পাছে।
আরাম করার নরম সোফা, বাড়াবে স্কুলের মান।
পান-জর্দা থাকবে মুখে, নিচেতে পিকদান।
তবে পেটটা কেবল বাগ মানেনা, সদায় নিম্নচাপ,
বাথরুম তাই চায় যে খালি, থাকবে সদায় সাফ।
মগজ ভরে আজব ভাবনা এক্কেবারে ঠাসা।
রাখ-ঢাক নেই মুখের বুলির বলিহারী সব ভাষা!
দিনে তিনবার ফাইল খুলে দেখেন সিনিয়ারিটি লিস্ট,
ডি.পি.সি.মেম্বার্স সব ‘উল্লুকা পাঁঠঠে’, কেটে করাই ভাল ফিস্ট।
সাফারি-স্যুট-টাই-শ্যু-এটাচি কদিন থাকে ভাল!
জানিনা এমন ফেয়ার লুকিং ফেস, অথচ কপাল কেন কাল?
সহ্য হয় না আর, এ যন্ত্রণা! শুধুই যে টেনশান।
স্টাফেরা কথার ছুরি চালান, রাখেন না আর মান ।
এসব ভেবেই প্রেশার এবং শরীরে সুগার ভরা।
ক্লাসে পরানোর কথা শুনেই কেবল মাথা ঘোরা।
কাঁপতে থাকে হাত-পা-বডি, কেনই বিধি বাম?
শুধু প্রোমোশন দাও জীব্দদশাতেই, জয় জয় শিয়ারাম!
-------