( প্রচলিত ভাষায় এখানে যেভাবে বলা হয় সেভাবে নাম দিয়েছি)
আন্দামান আর নিকোবরে কত শত মাছ ।
নীল জলে সারাদিন দেখায় যে নাচ।
‘উরুক্কু’-র জলে থেকেও ওড়বার শখ।
চাঁদা খেতে মিষ্টি, ‘বাঙ্গড়ি’, ‘টোপী’ টক।
‘শঙ্কর’ মাছকে বলে শাপলা পাতা।
‘গোবরা’-র দানবীয় চেহারা আর মাথা।
‘পোটকা’-র ডিম খেয়ে মারা গেল কত!
‘তলোয়ার’ নাম কেন?সে যে তলোয়ারের মত।
সাগরের ‘ট্যাংরা’র কাঁটা বিষে ভরা।
‘ইলিশ’ ‘তারিণী’ খাও ভাজা কড়া, কড়া।
‘সুর্মাই’ মাছ দামী, খেতে বেশ ভালো।
পাতুরিতে ‘কান’ মাছ,তবে রঙ কালো।
‘পমফ্রেট’ ‘চিত্রা’‘রুচা-য় যেন আঁকা ছবি।
মাছ দেখে চিত্রকর বা হয়ে যাও কবি।
আকৃতি-আকারে কারো পেতে পার ভয়।
দেখে দেখে মনে হবে এরা মাছ নয়!
‘কাতলা’,‘ভেটকি’,‘রুই’,’মৃগেল’, ‘কুকারী’
‘কোরাল’, ‘কুশাল’ ‘ডাণ্ডুস’, ‘রাণী’, ‘বেলে’, ‘কড়ি’।
‘জাভা’, ‘পুঁটি’ ‘বাউস’, ‘টিয়া’, ‘টুনা’ ‘বদমাশ’,
কেউ জিভে জল আনে, কেউ নয় খাস।
‘মায়া’ মাছে বড় মায়া, আহা! কী যে স্বাদ!
‘কাঁকড়া’, ‘চিংড়ি’, যেন যায় নাকো বাদ।
মাছ না হয়েও ‘তিমি’ রাজা, ‘ডলফিন’ নামী।
এদের রক্ষা কোরো, এরা বড় দামী।
সাগরেতে চোখ রেখে আরও মাছ দেখো।
এখানেতে কত মাছ সব চিনে রেখো।
আন্দামানের মানুষের মাছ বড় প্রিয়।
ভাল-মন্দ যাই হোক মাছ খেয়ে যেও।
--------