চাঁদ কখনও ভেদ করেনা তোমার এবং আমার।
সোহাগ দিয়ে করে তোলে সবাইকে যে আপন।
সোনা রোদের আলোয় ভরে অট্টালিকা-খামার।
সূর্য দেখ পূর্ণ করে সকলের দিন যাপন।

ভাগ কোরনা, ঘর ভেঙ্গোনা,ভায়ে ভায়ে মিলে।
সোনার মাটি তুলে নিয়ে সুখের প্রাসাদ গড়ো।
কখনও যেন এই বোলনা –একসাথে সব ছিলে।
চিরটা কাল একই থেকো, একই সাথে ম’রো।

মাথার উপর বিশাল আকাশ সীমারেখা নাই।
সেই আকাশটা কারো জন্যে কৃপণ হয় না তবু।
সন্তান তাঁর কষ্ট পেলে শান্তি কোথাও নাই,
চোখের জলে ভাসতে থাকেন সবার যিনি প্রভু।

ভাগ কোরোনা, ভাগ কোরোনা, সবাই বাঙালী।
পূর্ব যেমন সোনার বাংলা,পশ্চিম তেমনই খাঁটি।
দুই বাংলার মানুষ মিলে কর গলাগলি,
তোমার মাটি রত্ন হলে,তিলক আমার মাটি।

বজ্রমুঠি ধারন কর, শত্রু হোক সাবধান।
জেগে ওঠ, জাগিয়ে তোল,বিশ্ব দেখুক চেয়ে।
বন্ধন সব ছিন্ন কর, শিকলকে খান খান।
সবায় উঠুক সুর মিলিয়ে মুক্তির গান গেয়ে।
---------