( আন্দামান-নিকোবরের স্থান পরিচিতি করানোই এই ছড়ার উদ্দেশ্য। উদ্ধৃতিতে ব্যবহৃত নামগুলো এখানেরই বিভিন্ন দ্বীপের নাম )।
কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট, মাথাতে হ্যাট।
ওনার বাড়িটা হল ‘ব্যাম্বুফ্ল্যাট’।
কন্ঠেতে যাদু যেন, গলায় কী সুর!
মাষ্টারমশাই যিনি, থাকেন ‘ওয়ানডুর’।
ওনার পিসির ছেলে যিনি পাইলট,
নির্ঘাত জেনো তাঁর বাড়ি ‘কালিকট’।
যে মেয়েকে সকলেই বলছে বাচাল,
জেলা তার ‘নিকোবর’, জায়গা ‘কাচাল’।
ওর বাবা হাসিমুখে খেতে থাকে পান।
থাকার ঠিকানা তার ‘চ্যাম্পিয়ান’।
খুন ক’রে যার মনে নেই স্বস্তি,
সে থাকে কাছেই ওই ‘ভাতুবস্তি’।
তার ভাইপোটা মোটে নয়কো অসৎ।
‘কৌশল্যা নগরে’ থাকে পাশে ‘রঙ্গত’।
বৌমাটা লক্ষ্মী, ভারী সুন্দর।
বাপের বাড়িটা তার ‘মায়াবন্দর’।
পুকুরের জলে পোষে পানকৌড়ি।
ওগুলো সে পেল কোথা? – ‘নানকৌড়ি’,
‘কামোটা’,‘টেরেসা’,‘পিলপিলো’,‘চুকচুকিয়া’র ঝিলে।
দু-চারটে ছেড়ে দিল ‘সিপ্পিঘাট’, ‘হ্যাভলক’, নীল’-এ।
লক্ষ-লক্ষ তোতা থাকে ‘প্যারট আইল্যান্ড’ ‘বারাটাং’,
কিছু গেল ‘ফেরারগঞ্জে’,বাকী ‘রাঙ্গাচাং’।
‘লং আইল্যান্ড’ থেকে ‘স্ট্রেট আইল্যান্ড’ ছেড়ে,
বোট যায় রাজধানী ‘পোর্টব্লেয়ারে’।
আবার বিকেলে যায় ‘ডিগলীপুর’,
ফিরে আসে সবজীতে হয়ে ভরপুর।
‘মথুরা’, ‘বৃন্দাবন’, হল ‘উইম্বারলিগঞ্জ’ জোনে,
‘রামপুর’, ‘সীতাপুর’, ‘লক্ষনপুর’ ‘মধ্য আন্দামানে’।
‘লিটিল আন্দামানে’‘রামকৃষ্ণপুর’,‘বিবেকানন্দপুর’।
নামের মাঝেই মিলে গেছে সারা ভারতের সুর।
আরও কত দ্বীপের মালা বঙ্গোপসাগরের বুকের উপর।
এই নিয়েই তো গড়ে উঠেছে আন্দামান–নিকোবর।