কবিদের বাসায় যাতায়াত করেছি আমরা অনেকেই। তখন ইউনির্ভাসিটির ছাত্র। হলের খাবারের অবস্থা যা সেটা ঐ সময়ের সবার জানা। কিন্তু আমরা শুক্রবার আসলেই কয়েকজন যেতাম বিভিন্ন কবিদের বাসায়। খাওয়া দাওয়া শেষে গল্প গুজব, আড্ডা হতো। যা এখনো স্মৃতিতে উজ্জ্বল। আর এই কবিদের বউয়েরা আমাদের অনেক ভাল মন্দ রান্না করে খাওয়াতো। এখনকার কবিদের মধ্যে এতটা আন্তরিকতা দেখা যায় না। এই সময়টা হচ্ছে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত।
কবি রফিক আজাদের মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), আতাহার খান, ইমদাদুল হক মিলন যেতাম। ভাবীর আথিথেয়তা মনে রাখার মত।
কবি বেলাল চৌধুরীর পুরানা পল্টনের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), হাবীবুল্লাহ সিরাজী, আতাহার খান ও আবিদ আজাদ যেতাম।
কবি আসাদ চৌধুরীর মালিবাগ বাগান বাড়ীর বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), আতাহার খান, মাহমুদ শফি যেতাম। ভাবী খুব ভাল মুড়িঘন্ট রান্না করতেন। এখনো স্মৃতিতে জেগে ওঠে।
কবি শহীদ কাদরীর পুরানা পল্টনের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), হাবীবুল্লাহ সিরাজী, আতাহার খান, আবিদ আজাদ যেতাম। নাজমুন্নেসা পিয়ারী ভাবীর আতিথেয়তা মনে রাখার মত। তিনিও লেখালেখি করেন।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর খিলগাঁও চৌধুরীর পাড়ার বাসায় এবং পেয়ারাবাগনের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), আতাহার খান, জাহাঙ্গীরুল ইসলাম, ড. মাসুদুজ্জামান। কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর বউ রহিমা হচ্ছে আতাহারের রাজেন্দ্র কলেজে ব্যাচমেট ছিল; আর মুসা বিন শমসের -এর বোন। আমাদের সবারই পরিচিত। ভাল ভাল রান্না করা খাবার ও যত্ম আতিথেয়তাও বেশী পাওয়া যেতো।
কবি সিকদার আমিনুল হকের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), হাবীবুল্লাহ সিরাজী, আতাহার খান যেতাম।।
কবি আবদুল মান্নান সৈয়দের গ্রীণ রোডের বাসায় যেতাম। এই বাসায় আমি (শেখ সামসুল হক), রবিউল হুসাইন, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, আতাহার খান ও আবিদ আজাদ যেতাম।