১৯৪৯ : শেখ সামসুল হক। জন্ম ২২ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে ফরিদপুরের পশ্চিম চর টেপাখোলা। পিতা : শেখ জয়নাল আবেদীন। মাতা- কুলসুম বিবি। ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। জন্মস্থান :- গ্রাম-পশ্চিম চর টেপাখোলা, থানা-কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর। সংসার : স্ত্রী-শেখ বাবলি হক, পুত্র : শেখ সামিউল হক, কন্যা :- অয়ন হক। । তিনি মূলত ষাটের দশকের কবি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সম্পাদক। ফরিদপুর জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। বিখ্যাত ‘আলাওল’ পুরস্কার প্রবর্তকদেরও অন্যতম৤
১৯৫৫ : প্রাথমিক বিদ্যালয় : ময়েজ উদ্দিন হাই একাডেমী। পরবর্তীতে নাম হয় ময়েজ উদ্দিন হাইস্কুল।
১৯৬৫ : লেখালেখি শুরু করেন ষাটের দশকে। কবিতা ও ছড়া পড়ে এবং বেতারে গান শুনে কবিতা লিখতেন। প্রথম লেখা : শীতের বুড়ি (পদ্য), প্রথম বই : চমৎকার সাহস (কাব্যগ্রন্থ)
১৯৬৬ :  সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ : পড়াশুনা, প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি এবং খেলাঘর আসর, লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত  সময় অতিবাহিত করেন।
১৯৬৮ : সভাপতি, ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ), ফরিদপুর শহর কমিটি।
১৯৬৯ : অসহযোগ আন্দোলনের সময় সারাদেশ সহ ফরিদুপুর শহরেও ইংরেজী ও উর্দু সাইনবোর্ড, ব্যানার, বিলবোর্ড সহ যাবতীয় বিজ্ঞাপন ভাংগা ও উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে আন্দোলনে নেতৃত্বে দেয়ায় সদর থানার টিএসআই মিঃ মোমেন কর্তৃক গ্রেফতার। ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (১৯৬৯) ছিলেন।
১৯৭০ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি হতে এসে পারিবারিক কারণে ভর্তি হতে না পেরে ফরিদপুর ফেরত যান৤
১৯৭১ : ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী কর্তৃক ধৃত হয়ে কারাভোগ স্মরণীয় ঘটনা। ৮ ডিসেম্বর মুক্তি পান। এই সময়ের একটি ভাল লেখা- একটি বুলেটের জন্য শীর্ষক কবিতা-১৯৭১ সালে লেখা।
১৯৭২ :  ‘শব্দের আকাংঙ্খায় সূর্য’-১৯৭২ (যৌথ কাব্য) প্রকাশিত হয়৤  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালীন আড্ডা ছিলো-কলাভবন, মহসীন হল, সূর্যসেন হল,  ইতিহাস বিভাগ, বেতার ভবন, ৯৯ নবাবপুর সাপ্তাহিক আমাদের কথা অফিস, অবসরে শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন, নিউমার্কেট মনিকো রেস্টুরেন্টে কবিতার আড্ডা দেয়া।
১৯৭৪ : ২০ এপ্রিল কবি রফিক আজাদের কবিতা নিয়ে ফিচার লেখা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ১৯৭৬ সালের শেষে খালাস। ১৯৭৪  সালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন।  
১৯৭৬ :  ১৯৭৬ সালে ফরিদপুর জাদুঘর স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
১৯৭৮ :  বাংলাদেশ বেতার -এ চাকুরী।
১৯৭৯ :  বাংলাদেশ স্কাউটস -এ চাকুরী।
১৯৮৪ : ফরিদপুরের লোক সাহিত্য নিয়ে ১৯৮৪ সালে গবেষণার কাজ করেছেন। ‘ফরিদপুরের লোক সাহিত্য’ -১৯৮৪ সালে প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশ।
১৯৮৫ :  বিখ্যাত কাব্য গ্রন্থ ‘চমৎকার সাহস’- প্রকাশ।
১৯৮৬ : ৪ঠা সেপ্টেম্বর অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন প্রতিষ্ঠা।
১৯৮৮ : প্রথম পুরস্কার - বিকাশ সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ।
১৯৮৯ : পারাবর সাহিত্য পুরস্কার-৮৯ গ্রহণ৤ পিতা শেখ জয়নাল আবেদীন-এর মৃত্যু।  চৌধুরী রিয়াজউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার-’৮৯ গ্রহণ৤ ‘যাই ফিরে যাই’- কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ। বাংলাদেশ স্কাউটস -এর  চাকুরী থেকে  ৮ আগস্ট,  ১৯৮৯ সালে বিভাগীয় ছাপে ন্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ।
১৯৯২ : আহবায়ক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, অনুপ্রাস ইউনিট।
১৯৯৩ : ‘মাসিক নীলাঞ্জ’ সম্পাদনা ও প্রকাশ।
২০০১ : নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে গণ গ্রেফতার হবার ক্ষণটাই জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত।
২০১০ : ১০ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে অনুপ্রাসের রজত জয়ন্তি উৎসব পালন। ‘অনুপ্রাস রজত জয়ন্তী স্মারক গ্রন্থ-২০১০ সম্পাদনা ও প্রকাশ। অনুপ্রাস রজত জয়ন্তী সম্মাননা স্মারক-২০১০ গ্রহণ।
২০১১ : চয়ন সাহিত্য স্বর্ণপদক-২০১১ গ্রহণ।
২০১২ : অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠনের অফিস স্পেস ক্রয় ও নীলক্ষেত, ঢাকায়, স্থায়ী অফিস।
২০১৪ : অনুপ্রাস একুশের কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ। অনুপ্রাস দ্বি-ভাষিক স্বাধীনতার কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ।  সৈয়দ রনো'র জন্মবার্ষিকী ও জামসেদ ওয়াজেদ জন্মবার্ষিকী সংকলন সম্পাদনা৤ ৩০ জুলাই, ২০১৪ মাতা কুলসুম বিবির মৃত্যু হয়৤ নভেম্বর, ২০১৪ রমণীয় স্বাধীনতা কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ। উপদেষ্টা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফেডারেশন লিঃ (বামসাফে)
২০১৫ : অনুপ্রাস দ্বি-ভাষিক একুশের কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ। অনুপ্রাস স্বাধীনতা কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ। বেগম বদরুননেসা আলীর ৬৪তম জন্মোৎসব সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশ৤ ‘চমৎকার সাহস’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় প্রকাশ। ‘যাই ফিরে যাই’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় প্রকাশ।
২০১৬ : অনুপ্রাস একুশের বিজ্ঞান কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ। অনুপ্রাস দ্বি-ভাষিক স্বাধীনতার বিজ্ঞান কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ। বেগম বদরুননেসা আলীর ৬৫তম জন্মোৎসব সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশ৤ ডিসেম্বর, ২০১৬ ‘রূপালী জলের করাত’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ
২০১৭ : অনুপ্রাস দ্বি-ভাষিক বৈশাখী বিজ্ঞান কবিতা সংকলন সম্পাদনা ও প্রকাশ, যন্ত্রস্থ।

পত্রিকায় দায়িত্ব পালন :

সম্পাদক :- মাসিক নীলাঞ্জ।
নির্বাহী সম্পাদক : দৈনিক সোনালী বাংলাদেশ, মাসিক অগ্রদূত, বাংলাদেশ স্কাউটস, মাসিক অনুপ্রাস।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক :- মাসিক গণমন, ফরিদপুর জেলা বোর্ড।
চীফ রিপোর্টার :- দৈনিক বিকাল বার্তা, সাপ্তাহিক আমাদের কথা, সাপ্তাহিক দীপ্তবাংলা।
ডেপুটি ব্যুরো চীফ :-দৈনিক দেশ বাংলা, চট্টগ্রাম-১৯৭২, মাসিক মেঘনা।
বিভাগীয় সম্পাদক :- সাপ্তাহিক চিত্রালী, দৈনিক সমাচার, দৈনিক পত্রিকা, দৈনিক ভোরের ডাক, দৈনিক বাঙ্গালী।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :- সাপ্তাহিক যুবশক্তি-১৯৭২।
সাহিত্য সম্পাদক :- দৈনিক নব অভিযান, দৈনিক সোনালী বার্তা।
বার্তা সম্পাদক :- দৈনিক রূপবানী।

তিনি অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। বর্তমানে নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬ সাল থেকে পথচলায় চলমান। সর্বদাই কবিতার আধুনিক আঙ্গিক গঠনে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে নিত্য নতুন বিষয়ভিত্তিক কবিতা রচনায় কবিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ সংগঠনই দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে কবিতার নিয়মিত চর্চা হয়। নতুন লিখিয়েদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই প্রতিষ্ঠান একুশের কবিতা, স্বাধীনতা কবিতা, বৈশাখী কবিতা, বর্ষার কবিতা ও বিজয়ের কবিতা উৎসব নিয়মিত ভাবে পালন করে আসছে। শুধুমাত্র ঢাকাতেই নিয়মিত মাসিক সিডিউল অনুযায়ী মোট ৮-১২টি অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। ঢাকার বাইরেও জেলা শহরে নিয়মিত কাব্য চর্চার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে একক কবির কবিতা পাঠ, উন্মুক্ত কবিতা পাঠ, সঙ্গীত, আলোচনা, সমালোচনা সহ সেমিনার, গবেষণা, বুক রিভিউ, দ্বি-ভাষিক কবিতা সংকলন প্রকাশ. কবিদের জন্মোৎসব পালন ও কবিদের প্রকাশনা সংক্রান্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নীরব থাকা শখ, অন্য কিছু পারি না, তাই ভালবাসার উৎসাহে কবিতা লিখি, কবিতা বিষয়ে বলেন-ক্ষেত্র বিশেষে কবিতা যুক্তি নির্ভর, কবিরা কবিতা লিখে স্বতন্ত্রভাবে।  ভাল লেখা হচ্ছে- যে লেখা আনন্তিম মনে থাকে। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন সবাই কবি; জীবনানন্দ বলেছেন কেউ কেউ কবি,  দুটিই সত্য। বিশ্ব আঙ্গিকে বাংলা কবিতার বর্তমানে সহাবস্থান। বাংলা কবিতায় বিদেশী সাহিত্য এক সময় প্রভাব ফেললেও একবিংশ শতাব্দীতে পড়ছে না। তবে বিদেশী ভাষার কবিতা ও বাংলা কবিতা অনুবাদ, সাহিত্যকে উন্নত করতে পারে এবং যে কোনো ভাষায় কবিতার সঠিক অনুবাদ গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাতীয় চেতনা ও বিশ্বজনীন চিন্তা হচ্ছে মানুষকে ভালোবাসা। ব্যক্তি স্বার্থহীন ভাবনা ও মানুষ সত্য তার সার্বিক মুক্তি। বাংলা ভাষা সাহিত্য ও বাঙালীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কবি ও কবিতার মিলন মেলা গড়ে তোলা। কবিতার অবিনাশী মিছিল দেশ দুনিয়ায় এগিয়ে নিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াই ইচ্ছা। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পূর্বে ও পরে কবিতায় জাতিসত্তাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করি। উপস্থাপন ও প্রক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলা কবিতার আঙ্গিক দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে আর বিজ্ঞানের সমন্বয় কবিতাকে আরো সমৃদ্ধ করছে। বাংলা কবিতা সমৃদ্ধির পথে সংগ্রহ এবং সংগ্রহশালা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ও অন্তরায় আছে। ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্কাইফি, ওয়াটসঅ্যাপ সহ ডিজিটাল সব পদ্ধতি সাহিত্যকে বিকশিত করা, প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেই মনে করি।

বর্তমান দায়িত্ব :

নির্বাহী সভাপতি  : অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন ১৭ জানুয়ারী ১৯৮৭ তারিখ থেকে চলমান।
সম্পাদক : ‘মাসিক নীলাঞ্জ’ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখ  থেকে চলমান।
নির্বাহী সম্পাদক  : ‘মাসিক অনুপ্রাস’ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখ  থেকে চলমান।
সাধারণ সম্পাদক  : খলিলউল্লাহ্ মৃধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন ১৯৯৩ তারিখ থেকে চলমান।
সাধারণ সম্পাদক  : বাংলাদেশ বন বাগান মালিক সমিতি ১ জানু., ২০০১ তারিখ থেকে   চলমান।
প্রধান সমন্বয়ক  : বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান কবিতা পরিষদ। ১৩-০৬-২০১৬ তারিখ থেকে চলমান।
সাহিত্য সম্পাদক : দৈনিক নব অভিযান৤ জুন, ২০১৭ থেকে চলমান৤



বি :দ্র : = কবির যে কোনো কবিতা, একাধিক কবিতা বা কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত কবিতা ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আহবান ও অনুরোধ জানানো হলো৤