কে?
,
কে ডাকে, কে?।এমন করে।এই পাহাড়ের দেশে?
সে কি হাজং-এর মেয়ে? । পাহাড়ী ফুল নয়, হতে
পারে গাঁদা কিংবা রক্তকরবী, তার দুই হাতে।
.
যতই ডাকো, আমার ফুরসত নেই কোন।
দু'পাহাড়ের মাঝে চাপা নিচু পথ। সেখানে
আমার কিছু কাজ রয়ে গেছে।
.
কে ডাকে, কে?। এমন করে। যতই ডাকো কিংবা
যতই পাঠ করো বৈদিক মন্ত্র। আমি তো বলেছি,
আমার কিছু কাজ রয়ে গেছে।
.
দেখ শামুক; পাহাড়ের ঢাল বেয়ে, কি দারুণ
উঠে যায় উপরে। বেগানা বাতাস, খেলা করে
গাছের সবুজ চুলগুলো নিয়ে।পশুর রোমে বাতাসের
ঢেউ এসে থামে। লোকালয় ছেড়ে পোষা বেড়াল
পাহাড়ের খাঁজে মাথা ঘোষে।
.
নদী, পাহাড়, অরণ্য হতে, এখন আমি ধুয়ে
নেব দেহের গন্ধ, মুছে নেব চোখের ক্লান্তি।
বেদব্যাস মুনির মতো খুঁজে নেব পুষ্ট নির্জনতা!
===
.
স্লোগান
.
যেখানে দৃষ্টি থেমে গেছে, সেখান থেকেই
বার বার জেগে উঠি আমি,
ম্যান্ডেলা থেকে ড্যু বয়েস হেনরী,
লেনিন থেকে মুসোলিনী..
আমার চেতনায় প্রোথিত।
.
সাঁজোয়া যানের মতোই ছুটে চলি
বুলেটের সাক্ষাৎ, তাই তুলোর আঁচড় মাত্র!
নিষ্পেষণের এই ফলজ মৌসুমে
থেঁতলানো মানুষের মতো,
তুমি কি শুধুই একটা ল্যাংবোট?
.
পেছন থেকে আঘাত করে, যারা সটকে পড়ে,
বন্য শ্বাপদের সাথে-
তাদেরও কি পায়ের ছাপ, গণনা করা হয়?
রক্তস্নানের আগে তাদের হার্টবিট,
শুধুই কি দেখিয়ে চলে, রেড সিগন্যাল?
নাকি দুর্বল কোন জন্তুর মতো
প্রাণ আগলে তারা খুঁড়ে চলে গর্ত?
.
চাই গণতন্ত্র
চাই স্বাধীনতা
চাই সমঝতা
চাই ভ্রাতৃত্ব
এই হোক স্লোগান, বিপ্লবের মূলমন্ত্র!
===
.
ফুঁ/ সামস্ রুবেল
'পেছনে তাকালে মরা বাপের মাথা খাবি।'এই
বলে
বুকে ফুঁ দিয়ে, ছেলেটিকে ছেড়ে দিল দুখিনী
মা।
ছেলেটি যন্ত্রের মতো সামনেই হাঁটে, সামনেই
দেখে
পেছনে ফেরেনা। কাঁচা পথ মিলে গেছে
ধানক্ষেতে।
বুকঘেঁষে শহরের রাস্তা।পেছনে তাকানোর আর
প্রশ্নই ওঠেনা।
.
ছেলেটি যতদূর দৃষ্টি দিল সব তার হলো। নতুন
পয়সার মতো ঝকঝকে শহর
যশ
খ্যাতি
মদ
মাগী
বানের জলের মতো সব হুমড়ি দিল তার পায়ে।
.
কিন্তু অনেক অনেক দিন বাদে, যখন যে পেছনে
তাকালো মায়ের মরা মুখটিও আর দেখলোনা।
.
খোলস ছেড়ে আবার সে চলতে লাগলো। সামনে
মথুরাপুর; যমুনা নদীর তীর... কৃষ্ণ লীলা চলছে...
সে কতদূর যাবে কেউ জানেনা!
====
.
আমি আমার, তুমি তোমার
.
আর যাবনা... নেই কথা আর
মাটিতে মুখ হলাম বিমুখ
আমি কে কার!
.
পাখির ডানার
বিদ্যুৎ নিয়ে
ছুটবনা আর
পেছনে তার,
আমি কে কার!
.
আড়ষ্ট মেঘ সময়ের বেগ
আছে -
ধিকৃত রাত,
আছে -
ব্যথার দায়ভার,
আমি কে কার!
স্ব র বৃ ত্ত
===
.
সাইকেল
,
চুরি গেছে সাইকেল। আগুন-রঙা লাল টুকটুক
উড়ন্ত সাইকেল। স্বপ্নের ভেতর থেকে আলোক
রশ্মির মতো; নেমে আসা চলন্ত সাইকেল।
.
স্কুল,
ক্লাস,
কোচিং,
খেলার মাঠ,
এমনকি ঘুম, নাওয়া-খাওয়ার ঘরে পর্যন্ত খিল।
.
কিশোর মন হিম হয়ে গেছে শোকে। টানটান
চোখে নেই আর ঢেউয়ের উত্থান। 'অস্থিচর্মসার'
শরীর সময় গুনে প্রকাশ করছে বিবিধ ইঙ্গিত।
.
বহুদিন পরে... হঠাৎ একদিন স্টেশন রোডে পাওয়া
গেল পুরোনো সেই সাইকেল। ততদিনে নতুন একটি
সাইকেল পাড়ি দিয়েছে, কিশোর মনের অনেকটা
পথ!
.
===
. কথা
.
কথায় বিষ কথায় মধু
কথায় এতো ধার
কথায় মালা কথায় জ্বালা
কথায় মন ভার।
.
কথার মাঝে ছুরি চালিয়ে
কেউ করে ঘায়েল
কথার খাঁজে সুর বসালে
বেজে ওঠে পায়েল।
.
কথার বুকে বয় কখনো
বেদনার প্রপাত
রসের কথা বলতে গিয়ে
কেটেই যায় রাত।
.
কিছু মানুষ কথায় বড়ো
চতুর চলাফেরা
কাজের বেলা তাল বাহানা
অলস ঘোরাফেরা।
.
মুখের ভাষা বহন করে
ব্যাক্তি-পরিচয়
কথার ছলে দশ পৃথিবী
কেউবা করে জয়।
.
কথার পিঠে কথা সাজিয়ে
কবিতা লেখে কবি
কতো দিনের কতো কথায়
ভাসে শোকের ছবি।
.
আস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামে
কথার এতো ঝাঁঝ
গুলি বোমায় হয়না যেটা
কথায় হয় কাজ।
.
দিয়েছ কথা রাখোনি তুমি
এটা একটা রোগ
একটি কথা বয়ে বেড়ায়
আজীবনের শোক!
.
মাসের পর বছর যায়
কথারা থাকে বেঁচে
হিসেব করে মানুষ বুঝে
বলবে কথা বেছে।
.
উচিত কথা বললে নাকি
বন্ধু পর হয়
মিথ্যে দিয়ে হয়না জানি
সত্য টুকু জয়।
.
মা ত্রা বৃ ত্ত
==
.