দীঘা ভ্রমন
==========
ফুল চার্জ করে নিলাম আমার সেল ফোন
যাব বলে আমরা সবাই দীঘা ভ্রমন,
ক্যামেরাটা নিতে হবে খাস
সেক্টর ওয়ানে থাকবে দাঁড়িয়ে বাস..
ছাড়বে বলে বাস রাত দশ টায়
সবাইকে আসতে বলেছিল সারে ন'টায়,
আগে এসে বসেছিল বাসে যারা
তারা পেল লুচি,আলুর দম আর পকোড়া..
রাত দশ টায় চলল বাস
শুরু হলো সব ছেলেদের নাচ,
লুঙ্গী ড্যান্স লুঙ্গী ড্যান্স শুরু হলো
CRM এর মেয়েরাও তাতে যোগ দিল..
চলতে থাকে নাচ-দুলতে থাকে বাস
সেই দোলনে নাচতে গিয়ে সবাই পড়ে ধপাস্,
গৌড় এর ওপর সুমিত-তার ওপরে সুরজিৎ
উঁকি মেরে দেখি গিয়ে-সবাই পড়ে চিৎ.
নিউ দীঘাতে পৌছায় বাস_তখন ভোর পাঁচটা
'পিকনিক পয়েন্টে' উঠলো তখন গোটা দলটা,
আমি গৌরব আর অতনু যাই বিচ্ দেখব বলে
সাবির আর প্রিতম দৌড়ে এসে যোগ দিল দলে..
ভোর বেলার সূ্র্য্যটা সুন্দর নাকি দেখতে
ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতে থাকি তারই ফটো তুলতে,
লাল রঙের সূ্র্য্যটা দেখতে অনেক লোকের ভিড়্
তাই ফটো তুলে নিলাম_আমি গোরব আর সাবির..
ফিরে এলাম আমরা সবাই ফটো তোলা শেষ
টিফিনেতে পেলাম আমরা লুচি তরকারি আর সন্দেশ,
গামছা গায়ে বেরিয়ে পড়ি বিচে যাবো বলে
সমূদ্রতে নেমে আমরা স্নান করবো খেলে..
সমূদ্রতে নেমে পড়ি আমি আর গৌরব
অবাক হয়ে চেয়ে দেখি সমূদ্রের এই সৌরভ,
দু'জনেতে সমূদ্রতে অনেকক্ষন ধরে রইলাম
নোনা জলের চোখ জ্বলাটা দু'জনেই সইলাম..
মাথার ওপর ওঠে ঢেউ, পায়ের নিচে বালি
তাদের সাথেই খেলতে থাকি আমরা খালি খালি,
ধাক্কা মেরে আমায় ঢেউ নিয়ে যায় চলে
সেই ঢেউ আবার ফিরিয়ে দেয় আমায় ঠেলে ঠেলে..
আসতে থাকে সব ছেলেরা আমাদেরই দলে
ভূত সেজে আসতে থাকে সবাই রং খেলে,
কষ্ট হলো আমার তাই সবাইকে ঠিক চিনতে
প্রসেনজিত দা বলতে থাকে আমাদের ফিরতে..
ফিরে এসে আমরা সবাই দোকানে গেলাম কিনতে
ঝিনুকের ওই জিনিসগুলো সুন্দর ভারি দেখতে,
তারাতাড়ি কিছু জিনিস নিয়ে নিলাম কিনে
সময় মতো ফিরতে হবে এই কথাটা জেনে..
ফিরে এসে দেখি আমরা দুপুরের খাওয়া শুরু
খিদেতে পেট আমাদেরও করছে চুঁ চুঁ ,
তারাতাড়ি হাত ধুয়ে বসে পড়ি খেতে
দিয়ে গেল সামনে ওরা খালি থালা পেতে..
প্রথমে গেল দিয়ে স্যালাড লেবু আর জল
গরম ভাত দিয়ে গেল সাথে মূগের ডাল,
আলু ভাজা দিয়ে সেটা পেট ভরে খেলাম
আলু পটলের ডালনা খেয়ে একটু চেয়ে নিলাম..
তারপরেতে এল পাতে গরম মটন কষা
খেতে সেটা দারুন ছিল বলার নেই ভাষা,
কাঁচা আমের চাটনি পাতে চলে গেল দিয়ে
চাটতে চাটতে খেতে থাকি ভাজা পাঁপড় দিয়ে..
অনেক বেশি খেয়ে আমি করলাম অনেক ভুল
উঠটে অনেক কষ্ট হচ্ছে পেট ফুলে ঢোল,
রুপক সুবিরকে ভর করে উঠলাম আমি শেষে
খাটের ওপর উঠে পড়ি ধপাস্ করে বসে..
চারটায় আমি তৈরী হব বাসটা পরে ফাঁকা
সবাই পরে ঘুমাচ্ছে শুরু হবে ডাকা,
চা খেয়েই আমরা সবাই যাব বেড়িয়ে
'পিকনিক পয়েন্টের' গেটের কাছে বাসটা দাঁড়িয়ে..
পাঁচটার সময় রওনা হলাম বাস তখন চলল
আমাকেও নাচতে হবে এমন সবাই বলল,
নাচতে জানিনা একটুও তাই_এটা আমি জানি
"আমাকে ক্ষমা করো" এটা বললাম আমি..
কোলা ঘাটের কাছে যখন থামলো আমাদের বাস
তখন থেকেই শুরু হলো প্রসেনজিৎ দার নাচ,
দেখবার মতো ছিল সেটা বলছি কি আর ভাই
এতো সুন্দর নাচ কখনো আমি দেখি নাই..
কোলা ঘাটের ধাবায় আমরা বসলাম চেয়ারে
ফ্রাইড রাইস আর ডিম কষা আহার করলাম সেরে,
আবার সবাই উঠে পরি বাস চলল সেই যে
অনেক রাত হল তখন ঘড়িটা চলছে বেজে..
ডানলপেতে নামব আমি বাস থামায় চালক
আমার সাথে সঙ্গী হল খড়দহের রুপক,
অটোটা ফাঁকা ছিল উঠে পরলাম তাতে
সেটা তখন থামলো গিয়ে ঠিক শ্টেশন রোডে..
মিস করছি আজও আমি সেই নাচ গুলোর
মিস করছি আমাদের সেই হই হুল্লোর,
কবিতাতে লিখলাম আমি সেই মিস্টি ব্যাথা
আসছে বছর আবার যাবো_যাবো নিউ দীঘা ..