কতদিন কেটে গেলো
কোনো শহর, নদী কিংবা উপত্যকা
জানে না তোমার কথা।
তবু তোমার নাম খুঁজে ফিরি আমি—
অবলোপের অলিগলি থেকে হিমালয়ের চূড়ায়।
যদি জানতাম,
তোমাকে একবার দেখার প্রতিশ্রুতি সত্যি হবে,
তাহলে ব্রহ্মপুত্রের প্রতিটি ঢেউ গুনে,
উত্তাল গঙ্গায় নেমে পড়তাম সাঁতারু হয়ে।
তোমাকে খুঁজতাম
কাঠমান্ডুর চূড়ায় জমে থাকা প্রাচীন বরফের স্তূপে,
বা নীলগিরির ঝরনায় ভেজা ধ্রুপদী গানে।
যদি জানতে পারতাম তুমি অপেক্ষা করছো,
আমি আরব্য রজনীর মরু পার হয়ে
নীল নদে পা ডুবিয়ে ছুঁয়ে আসতাম মিশরের পিরামিড।
তোমার মুখ দেখার তৃষ্ণায়
ভেসে যেতাম আটলান্টিকের ঢেউয়ে,
যেনো আমাজনের গভীর অরণ্যে তোমার শ্বাস খুঁজে পাই।
কোন এক শীতের রাতে,
তোমার ছায়া দেখেছি কি কাশ্মীরের বরফ ঢাকা বাগানে?
না কি ভেবেছি তুমি আছো
বেথলেহেমের অন্ধকার গুহায়?
কতদিন হয়ে গেলো
তোমাকে দেখিনি।
তবু প্রতিটি নাম, প্রতিটি শহর,
প্রতিটি অচেনা ভোর আমার কাছে
তোমার ফেরার ঠিকানা হয়ে ওঠে।