আমরা সেই জনতা—যাদের শিরায় শিরায় আগুন বইছে,
যাদের হাত দুটো শেকলে বাঁধা, অথচ মুষ্টি দৃঢ়।
আমাদের শরীরে জড়িয়ে আছে শতাব্দীর দগদগে ক্ষত,
যার প্রতিটি দাগ একেকটি বিপ্লবের পূর্বাভাস।

কেউ বলে আমরা পরাধীন, আমরা দুর্বল—
তারা জানে না, দগদগে ক্ষতই আমাদের ব্যানার,
আমাদের প্রতিটি ক্ষতের গভীরে সূর্যের আলো লুকিয়ে থাকে,
আর আমাদের রক্ত বিন্দুতে গেঁথে থাকে স্বাধীনতার ভাষা।

শাসকের চাবুক আমাদের পিঠে আঁচড় কাটে,
আমাদের হাড়ে-হাড়ে ফাটল তোলে শোষণের হাতুড়ি,
কিন্তু জানুক তারা—আমরা লোহার চেয়েও কঠিন,
আমাদের হাড়েই গড়ে উঠবে আগামী বিদ্রোহের মিনার।

আমরা জন্মেছি শিকল ভাঙার প্রতিজ্ঞা নিয়ে,
আমাদের গলায় নেই নতজানু করুণ আকুতি,
আমরা যে ভাষায় কথা বলি, তা বিদ্রোহের ছন্দ,
আমরা যে সুরে গাই, তা প্রতিরোধের অমোঘ সংগীত।

আমাদের দীর্ঘশ্বাসের নাম—ক্ষুদিরাম,
আমাদের শপথের নাম—তিতুমীর,
আমাদের বজ্র কণ্ঠ—সূর্য সেন,
আমাদের প্রতিটি রক্ত কণা—প্রতিবাদের পাথর।

তাই যতই আঘাত দাও, যতই শেকল পরাও,
আমরা থামব না, আমরা হারব না।
আমাদের পিঠে যে দাগ, সেটাই আমাদের জয়ধ্বনি,
আমাদের বিদীর্ণ বুকে যে ক্ষত, সেটাই আমাদের পতাকা!