খুঁজি তোমায় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে,  
পাহাড়ি বুনো পাখির ডাকে,  
পাহাড়ের চূড়ায় অস্তমিত রক্তিম লাল সূর্য!  
আমি খুঁজি তোমায়—  
খুব যত্নে রাখা তোমার দেওয়া চিঠি গুলোর মাঝে;  
তোমার লেখার প্রতিটি অক্ষর যেন তোমার ছোঁয়ার সাক্ষী দেয়,  
আমি খুঁজি তোমায় ধূসর পাণ্ডুলিপির মাঝে হারিয়ে যাওয়া কবিতার চরণে...!

আমি খুঁজি তোমায় গভীর রাতের নিস্তব্ধতায়,  
যেখানে প্রতিটি তারা যেন তোমার চোখের গভীরতা বলে দেয়,  
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটায় খুঁজে পাই তোমার ছোঁয়ার অনুভূতি,  
তোমার গন্ধ মিশে থাকে মাটির শুষ্ক ঘ্রাণে।  

আমি খুঁজি তোমায় নদীর প্রবাহে,  
যেখানে প্রতিটি ঢেউ যেন তোমার হাসির প্রতিধ্বনি শোনায়।  
পথের নিঃশব্দ হাওয়ার মাঝে তুমি ছুঁয়ে যাও আমায়,  
তোমার উপস্থিতি অনুভব করি শব্দহীন বাতাসে।  

আমি খুঁজি তোমায় সেই পুরোনো স্মৃতির ভাঁজে,  
যেখানে তুমি রেখে গেছ কিছু অপ্রকাশিত কথার চিহ্ন।  
তোমার ম্লান হয়ে যাওয়া ছবি আজও যেন আমার হৃদয়ের আয়নায় ঝলমল করে,  
আমি খুঁজি তোমায় প্রতিটি হারানো সময়ের প্রান্তে!

আমি খুঁজি তোমায় ঝিরঝির বৃষ্টির ফোঁটায়,  
গভীর অরণ্য একাকী পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে  
হারিয়ে যাওয়ার পথের সন্ধানে;  
রাতের আকাশে ছুটে চলা নক্ষত্রের আলোয়।  
  
আমি খুঁজি তোমায় নদীর তীরে থেমে থাকা স্রোতে,  
স্মৃতির খাতায় লেখা কিছু মলিন প্রহরে,  
তোমার ছোঁয়া দেওয়া শ্যামল পাতার রঙে,  
অবিরাম বয়ে যাওয়া বাতাসের শীতল স্পর্শে।  
  
আমি খুঁজি তোমায়  
মৃদু হাওয়ায় দুলতে থাকা সবুজ পাতায়,  
হারানো শব্দের আড়ালে থাকা গানের সুরে,  
নিঃশব্দে লেখা কল্পনার বুননে,  
অপেক্ষার শেষে তোমায় খুঁজে পাবার বাসনায়...!

আমি খুঁজি তোমায় নদীর কূলে ভেসে চলা নিঃশব্দ নৌকায়,  
রাতের গভীর অন্ধকারে ঝলমলে জোনাকি পোকায়,  
অবিরত বৃষ্টির শেষে যেখানে মেঘের বুক চিরে হাসে সূর্য।  

আমি খুঁজি তোমায় ঝরাপাতার মর্মরে,  
তোমার প্রিয় বইয়ের ভাঁজে, যেখানে আমার স্মৃতিগুলো বাস করে লেখকের লেখার প্রতিটি অক্ষরে!  
প্রতি শব্দ, প্রতি লিপি যেন আমার জন্য একান্তে লেখা।  
আমি খুঁজি তোমায়, ঝরাপাতার মতো নিঃশেষ হওয়া এক প্রতীক্ষার মুহূর্তে...!  
তবুও তুমি ধরা দাও না, লুকিয়ে থাকো নীরবতার আড়ালে!  
আমি খুঁজি তোমায় পৃথিবীর প্রতিটি নিস্তব্ধ কাননে।