ফাগুন এসেছে, সূর্যের রক্তিম আভায়,
পলাশ আর শিমুলের ডালে ডালে।
বাতাসে গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে শুকনো পাতার,
মাটি রুক্ষ হয়ে উঠেছে,
তবু কোথাও যেন লুকিয়ে আছে
একটি নরম ছোঁয়া,
একটি অদৃশ্য গান,
যা হৃদয়ের ভেতর ধীরে ধীরে বাজছে।

ফাগুন এলেই মনে পড়ে যায়—
কোনো এক বসন্ত বিকেলে
তুমি বলেছিলে,
"বসন্ত এলে সবকিছু বদলে যায়,
মানুষও হয়তো একটু একটু করে বদলায়।"
তুমি কি জানতে?
সবাই বদলায় না,
কিছু অপেক্ষা রয়ে যায়,
কিছু গল্প অসমাপ্ত থাকে,
কিছু অভিমান ঝরে যায় শুকনো পাতার মতো,
কিন্তু তবু ফিরে আসে বসন্তের বাতাসে।

আজও ফাগুন আসে,
গাছের পাতাগুলো ঝরে যায় ধুলো হয়ে,
বাতাস বয়ে নিয়ে যায় নামহীন কবিতার ছন্দ,
তবে কি বসন্তের রঙ শুধু বাইরের?
ভেতরের বসন্ত কি একবার হারালে ফিরে আসে না?

এক সময় বসন্ত মানে ছিলো নতুন কিছু,
প্রেমের উষ্ণতা,
অপেক্ষার আনন্দ,
কিন্তু এখন বসন্ত মানে হলো
একটি হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তের স্মৃতি,
একটি রঙ হারানো সন্ধ্যা,
একটি বিষণ্ণ বাতাস,
যা বুকের গভীরে ছুঁয়ে যায়,
তবে বদলায় না কিছুই।

ফাগুন আসে, ফাগুন যায়,
শুধু সময় থেকে যায়,
কিছু ফেলে আসা পথে,
কিছু স্মৃতির সীমানায়,
যেখানে বসন্তের রঙও একদিন
ধূসর হয়ে যায়।