ছোট্ট ছোট্ট আঁচল ভরি মাগো,
পুঁজি ছিলে তোমার সংসার।
অন্নহীন মন্বন্তরের ফাঁকে
দু’পা ছিলনা তোমারও।
পিতা করছে ভিখ মাগো,
নেই দুচোখ যার।
বাঁধনে বেঁধেছিলে দুজনে,
সৃষ্টি করেছো আমারে।
কি নিষ্ঠুর পিপাসিতার আঁধারে,
যে জালে তুমিও পড়েছো ধরা।
আমাকেও বাদ দেয়নি সে জাল।
বাসন পাতি, দাও গো বাবু বলে,
পাততে হাত নোংরা ফুটপাতে।
আমি শুনতে পেতাম মাগো,
তোমার মাতৃ গহ্বর থেকে।
হাজার হাজার ভিড় চলে যায়।
পড়ে রয় এক টাকা।
দিন গোনে তোমার দুচোখ।
নয় মাস দশ দিন বেলা।
অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা মাগো।
শুনতে পেতাম দিবা রাত্র।
দুচোখ ভরি কান্না তোমার,
নিভৃত রাত্রে লুটাতো।
তবুও সন্তর্পণে রেখেছিলে আমারে,
শত দুঃখ জ্বালা অতিক্রম করে।
অপেক্ষায় ছিলে রত তুমি,
‘মা’ ডাক শুনবার তরে।
দিলে না সে ডাক শুনতে মাগো।
ক্ষুধা নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলে ফুটপাতে।
গভীর রাতে চার চক্র বাবু যান।
উঠে ছিল তোমার গর্ভ’পরে।
বাবু বেঁচে গেছে মাগো।
বাঁচতে দেয়নি সেই অঙ্কুর টিকে।
যার অপেক্ষায় ছিলে তুমি,
নয় মাস দশ দিন পরে,
শুধু ‘মা’- ডাক শুনবার তরে ।
//রচনা: ৫ নভেম্বর ২০১৭
পুনঃ রচনা: ৯জানুয়ারি ২০২৪,জয়নগর //