প্রতিদিন পথের উপরে,
জীর্ণ শীর্ণ চাদোর বিছিয়ে,
ভিখারি একা কোন ঠাসা।
জানে, মুছবেনা জ্বালা!
বয়ে যাবে সমুদ্রের ভেলা।
সদা চলবে দুর্দিন দুর্দশা।।
প্রভাতে উঠলে রবি,
পাত্র নিয়ে ভিখারি ছুটি
তপ্ত পথের উপরে।
সারাদিন গুঞ্জনে বলে-
বাবু আমি ভুখা ফাঁকা আছি,
দাও কিছু আমারে।।
এ জ্বালা বড় কঠিন!
চলেছি পথে দু-পা হীন,
বোঝা শুধু জীবন,
পাত্র শুধু সম্বল!
যদি কিছু দাও!
করব প্রাণ যাপন।।
দিন আসে দিন যায়,
এ জীবন জ্বালা না জুড়ায়।
পাত্র নিয়ে পথে ঘোরে।
সাধ জাগে বাঁচতে।
এ মুক্ত পৃথিবী দেখতে,
অনিচ্ছায় বারে বারে মরে।।
নিরুপায় তৃষ্ণায় বলে-
কেন দিলে এ জ্বালা
কিবা ছিল দোষ প্রাণদাতা?
দুঃখের পরে আসে সুখ
তবে কি আমি অবহেলা,
এ কেমন বিচার প্রণেতা।।
দুই পা ছাড়া এ জীবন
বোঝা লাগে এখন,
বেঁচে থাকা শুধুই পরের সহানুভূতি।
জীবন আজ অসহ্য লাগে
মৃত্যু চেয়ে চেয়ে-
দাও এবার আমার অনুমতি।।