আমি ইকবাল, ওই পথের ধারে রই
ওই যে দেখছ বিরাট বাড়ি উঠছে
হোথায় আমি ইট বইতে যাই।
সকাল থেকে বিকাল হলে , হবে আমার ছুটি
সারা দিনের কুড়ি টাকায়
সুখের রাতে খাব ডাল রুটি।
ওই যে সব আলম, আমীর, আসলাম
সবাই আমার বন্ধু ওরা
সবাই এক সাথে করি কাম।
ওদের ছেলে জামা পরে যখন সকুলেতে যায়
আমার যেন ইচ্ছা করে
যদি একবারটি ওরা আমায় সাথে নেয়।
ইটের পরে ইট মাথায় যখন তুলি
একে একে সব ইচ্ছা যেন চাপা পরে
আবার ওই বাড়ির দিকেই চলি।।
আমি রতন, এই যে দেখছ পথের ধার
এই খানেতেই আমার রাজ্য
জুতো পালিস, বুট পালিস' করি চিৎকার।
ওদের পায়ে দামি জুতোর দিকে আমিও থাকি চেয়ে
ইচ্ছে করে এই ছেঁড়া চটি ছেরে
একবারটি দি ওই দামী জুতো পায়ে।
কিন্তু যখন ওই দামী জুতো ধরে আমার সামনে
সেলাম ঠুকি, পালিস করি
ইচ্ছা গুলি ঝেরে ফেলি ওই জুতোর ধূলার সাথে।।
আমি পটল, এই চায়ের দোকান, এথায় আমার বাস
বাসন মাজা, টেবিল মোছা
সবার ডাকে সাড়া দেওয়া, সবই আমার কাম।
কেউবা এসে মুচকি হেসে কথা বলে দুটো
কেউবা আবার ঝামটি মারে
সয়ে গেছে, জানি সবার ছুতো।
ওই যে মাঠে খেলছে ওরা, আমি চেয়ে দেখি
আমারও তখন ইচ্ছা করে
কিন্তু, সকাল থেকে বিকাল, একদিনও নাই ছুটি।
আরও কত পট্ল, রতন, ইকবাল রাস্তায়
রোজই দেখি পথের ধারে কাম করে খায়,
আমি, তুমি সবাই জানি ওদের কাজ করা নিষেধ,
কে আসবে নিতে ওদের অধিকারের হিসেব?