বিরূপ প্রকৃতি। কাক-পক্ষীর আওয়াজ নেই একটাও। একনাগাড়ে, মেঘপতনের একটানা বিরক্তিকর খটাখট। যতদূর চোখ যায়, সামনে শুধু ঝাপসা। বর্শার উদ্যত ফলার আঘাতে আঘাতে জর্জরিত গাছেদের উঁচু মাথা, নতজানু হয়ে পরাধীনতা স্বীকার করে আছে বর্ষার কাছে। তবুও, তার হুঙ্কার মুহুর্মুহু।
ঘরে বন্দী, একরকম কাল বিকেল থেকে। আচ্ছা, বন্দী ভাবছি কেন নিজেকে! বেশ তো নিজের পছন্দমত খিচুড়ি, বেগুনভাজা। বিশ্রামের ওভারটাইম। শুয়ে থাকতে থাকতে একটু চোখ লেগে গেছিল বোধ হয়। হঠাত ঘুমটা ভেঙে গেল সেই চিরপরিচিত কাকেদের চিৎকারে। জানালাটা খুলে দেখি, মেঘলা এখনো; তবে, বৃষ্টিটা ধরেছে। কার্ফু শিথিল হলে, লোকে যেমন বদ্ধঘর থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সন্ধানে, এতক্ষণের অভুক্ত কাকপক্ষী তেমন বেরিয়ে পড়েছে অবাধ্য পেটের টানে। সুযোগ পেয়ে মাটির সঙ্গে মিশে থাকা গাছগুলোও মাথা তুলেছে খানিক।
প্রকৃতি অসীম শক্তিমান। তবে প্রাণের শক্তিই বা কম কিসে! বশ্যতা স্বীকার করিয়ে রাখা যায় না তাকে, বেশীক্ষণ!