মাঠে মাঠে সোনালী ফসল প্রস্তুত
ঘরে ফেরার দীর্ঘ প্রতীক্ষার হলো অবসান।
উন্মুখ চাষীও কাস্তে হাতে
সাদরে তাদের ঘরে বরণ করবে বলে।
চাষী-বউও তৈরি
নবান্নের উৎসব আয়োজনে।
এত কিছুর মধ্যেও
হেমন্তের মরা রোদে
বিষাদের সুর বেজে ওঠে;
ভয়ে কাঁপন ধরে
সেইসব বৃক্ষরাজির গায়
যারা
একটু একটু করে বেড়ে উঠেছিলো
মাটি ছেড়ে আকাশের দিকে।
যৌবনের অমৃত সুধায় সঞ্জীবিত হয়েছিলো; যারা একদিন
তারাই, সন্ত্রস্ত এখন
একটু একটু করে
জীবন রস শুষে নেওয়ার
একটু একটু করে ঝরে যাওয়ার...
পদধ্বনি শুনে।