ঘর বললে
চোখের সামনে আজও ভেসে ওঠে
খিড়কির পুকুরঘাট থেকে সদর দরজা পর্যন্ত এক বিস্তৃত অবাধ
গোটা গ্রামটাই যেন এক সার্বজনীন উঠোন
সুখদুঃখের অন্তরঙ্গ কথকতা
ফেলে আসা আমার স্বদেশ-আমার জন্মভুমি।
পথের কথা উঠলে
যশোর রোডের নাম মনে পড়ে আজও;
অবাধ গতিপথ কলিকাতা থেকে যশোর অবধি
নদীর নাম!
একজন নয়! যমজ দুজন; গঙ্গা আর পদ্মা
হাত ধরাধরি করে বয়ে যেত তারা একই দেশের মাটি বেয়ে
পড়শির দেওয়াল দূরত্বে আটকে পড়ে
বড়ো একা আজ ওরা দুজনেই; দুজনেই বড়ো মনমরা!
দেশ-কাল-সময়ের হাজারো বিভাজন
তবু, নানান বিধি নিষেধের বেড়া ভেঙে
সংহতির স্বপ্ন দেখেন একদল কবি
এপার-ওপার একাকার হলো আজ
আজ আমার ঘর বড়ো সুখী একান্নবর্তীর আনন্দে!