যে সমুদ্রের শরীরী হিন্দোলে
প্রশান্তির অবগাহন চেয়েছিলাম-
যার জন্যে কতো কষ্ট করেছি
একটু চোখের দেখা দেখতে পাবো বলে-
আজ সে নিজেই চলে এসেছে
শুধু আমায় নয়,
আমার ঘরটাকেও তার বুনো ঢেউয়ে, ভাসিয়ে দেবে বলে-
সে কি জানে,
কতো দিনের কতো পরিশ্রম
কতো স্বপ্ন
তিল তিল করে জমা করলে
তবেই,একটা ঘর গাঁথা যায়!
একটা একটা করে
পরস্পর নিবিড় প্রতিবেশী বুননের ফসলে
একটা গ্রাম গড়ে তুলতে;
কতো দিনের কতো মানুষের অপেক্ষার ধৈর্য্য লাগে!
সবুজ রঙা যে জমিটা
আজ সে নিমেষেই গিলে ফেললো
সেটা যে একদিন
শুধুমাত্র, উৎপাদনহীন পতিত বন্ধ্যা ছিল-
কঠিন সেই ভূমিটাকে
চাষযোগ্য করে গড়ে তুলতে
শুধু আমার নয়,
আমার পূর্বপুরুষের
কতো শ্রম ও ঘামের যন্ত্রণাবিদ্ধ সোনার অক্ষর লেখা ছিলো!
যারা বলে, জল নাকি জীবনের অপর নাম
আমি বলবো, প্লাবন দেখেনি তারা!
সামনাসামনি হয়নি তারা; মুহূর্তের এমন সর্বনাশের
সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যে এমন
সর্বস্বান্ত করতে পারে,
তাকে, দুর্বৃত্ত ছাড়া আর কিইবা বলতে পারি!
আমি ভুল
আদ্যন্ত, আমিই ভুল
ওর সৌন্দর্যের দুর্নিবার আকর্ষণে
আমিই ছুটে গেছি, বারবার-
না-না-না...
আমি আর কোনোদিনও সমুদ্রস্নানে যাবো না-