“তিনটি অণুকাব্য”- রচয়িতা কবি রহমান মুজিব।
প্রথমটিতে বলা হয়েছে যে, অস্ত্র দিয়ে হয়তো যুদ্ধ জয় করতে পারো তবে তাতে মন জয় করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়টিতে-কোন মানুষকে যদি জিন্দালাশ করে বাঁচিয়ে রাখার অভিসন্ধি থাকে তবে, তার মনটাকে শুধু মেরে দাও।
আর, সর্বশেষ বা তৃতীয়টিতে বলা হয়েছে যে কৌশলে হয়তো সাপের সঙ্গে খেলে তার হাত থেকে ছাড়া পেতে পারো তবে, মন নিয়ে খেলতে গেলে নির্ঘাত মার খেতে হবে।
তিনটি কবিতারই মূল উপজীব্য- ‘মন’ এবং অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায়, সুন্দর ছন্দে কবিতাগুলি বলা হয়েছে। কবিতার বিষয়ে কোন ধোঁয়াশা বা দুরকমের অর্থ নেই।
তবু, প্রতিবেদকের মনে হয়েছে কবিতা তিনটির আরও কিছু বলার আছে আর, সেইজন্যেই এই আলোচনা।
প্রথমত কবি যখন একই বিষয় ‘মন’ নিয়েই লিখেছেন, তবে কেন তিনি আলাদা করে তিনটি ভাগ করলেন? আর, যদিও বা ভাগ করলেন তবে কেন তিনি তিনটিকেই একসঙ্গে প্রকাশ করলেন অনুকাব্য নাম দিয়ে!
প্রশ্ন আছে আরও। কে এই সঞ্জয়? মহাভারতের “সঞ্জয়” তো যুদ্ধ করেনি! যুদ্ধ করেছিলেন ধনঞ্জয় বা অর্জুন। অভিধান খুঁজে সঞ্জয়-এর অর্থ পেলাম ‘মনোযোগী’।
বিষয়টি এবার অন্যভাবে ধরা পড়লো মনের কোণে। এই যে মূল্যবান কথাগুলি বলা হল তা একমাত্র মনোযোগীকেই বলা হয়েছে। মন দিয়ে যে এই কথার মূল্য বুঝবে। চেষ্টা করবে জীবনের বৃহত্তর ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটানোর। আর, অমনোযোগীর জন্য এমন মূল্যবান কথা অর্থহীন। আর, এখানেই লুকিয়ে আছে তিনটি অণুকাব্যকে একসঙ্গে প্রকাশ করার রহস্য।
জানিনা আরও কিছু কথা বলার আছে কিনা!
বাদ যদি কিছু পড়ে থাকে তবে, তা নিশ্চয় পূরণ করে দেবেন আমাদের প্রিয় কবি ও আলোচক মহাশয়।
এই অবধি বলে প্রতিবেদকের বিদায় নেবার পালা।
আন্তরিক শুভকামনা জানিয়ে শেষ করলাম আজকের মতো।