সুখ পাখি
- শ্রদ্ধেয় কবীর হুমায়ূন
সুখ যেন এক পাখি; দেখা দিয়েও, ধরা দিয়েও, মিলিয়ে যায় কোথায়! ধরতে পারি না আর! খুঁজে খুঁজে হন্যে হই শুধু শুধু...
“সুখ পাখি তুই কোথায় থাকিস? কোন সুদূরের গাঁয়?
তোর কামনায় রাত কেটে যায় বিপুল অনিদ্রায়।”
আমাদের সবার অত্যন্ত প্রিয় কবি, শ্রদ্ধেয় কবীর হুমায়ূন তাঁর “সুখ পাখি” কবিতায় খুঁজতে চেয়েছেন জীবনের প্রার্থিত সুখের কথা। ধরতে চেয়েছেন সুখরূপী সেই অধরা পাখিটাকে-
এ সুখ, ঠিক বহিরাবরণের জাগতিক ঐশ্বর্য প্রাপ্তির নয়! হারানো প্রাপ্তির খোঁজে এ সুখ, হৃদয়ের গহীনে ডুব দেবার-
“সুখের নীড়ের সুখ পাখি তুই ছন্দ জড়ানো সুর,
তোর ছোঁয়া পেলে পার হয়ে যাবো জীবন সমুদ্দুর”।
যদি তার দেখা পাই, তবে, তিলতিল করে গড়া জীবনের সবটুকু দিয়েই ভালবাসবো তাকে। তার বিহনে এলোমেলো জীবনটাকে সাজিয়ে নেব আবার; রঙে-রূপে-রসে-
“বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা দিয়ে সিন্ধু গড়েছি আজ,
ফিরে আয় তুই, দেখে নেবো আজ জীবনের কারুকাজ”।
কিন্তু হায়!সুখের আশায় দিন কেটে যায় শুধু; জীবন ছন্দ নিয়ে আসে না তবু! পরিযায়ী পাখির মতো,যাযাবরের মতো, কোন একজায়গায় থিতু হল না আমার সুখ পাখি। তাই, আমারও জীবন বয়ে চলল সুখের পরিবর্তে, পোড়া দুঃখের জ্বালা নিয়ে শুধু-
“পরিযায়ী পাখি! যাযাবর মনে চলে গেলি দূর বনে,
আমার জনম কেটে গেলো তাই দূঃখেরই দহনে।”
কাব্য উদ্যান যখন নীরস গদ্যে একঘেয়ে হয়ে আসে, ছান্দসিক কবি তখন বপন করে দেন ছন্দের মনোরম শস্যকণা।
কাব্য পাঠে বড়ো তৃপ্তি সুখে, সুখের সন্ধানে আনন্দ নিয়ে ফিরি তাই।
আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে এমন এক মনোরম কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
ভালো থাকুন কবি।
আন্তরিক শুভকামনা রইল।