শান্তি বার্তা
   - জে আর এ্যাগ্নেস  


“যখন ক্রোধের লাভা ঝলসায় মন”

   এমনি এমনি তো ক্রোধের লাভা ঝলসায় না! অন্তরালে ঘোরতর কোন কারণ থাকে নিশ্চয়। অত্যাচারী  তরবারিতে প্রিয়জনের রক্ত ঝরতে দেখলে কারই বা মাথার ঠিক থাকে! প্রতিশোধের লেলিহান শিখা এমনি এমনি জ্বলেনা! বাস্তব প্রেক্ষিত থাকে সবসময়-

মনের আর দোষ কি! রক্তের বদলে রক্ত ঢেলে দিতে মন তো চাইবেই...

সেই আদিকাল থেকেই পৃথিবী, রক্তে স্নান করে চলেছে বারবার। এক যুদ্ধের গর্ভে প্রোথিত থেকে যাচ্ছে  অপর যুদ্ধের সর্বনাশা বীজ। ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতো। যুদ্ধের পর যুদ্ধে, উপর্যুপরি হত্যায়, শ্মশান হয়েও, শেষ হচ্ছে না সেই রক্তবীজের রক্ত ঝরানোর প্রাণঘাতী নেশা।  

এমন এক অশান্তির বাতাবরণে কবি খোঁজ দেন এক চিরস্থায়ী “শান্তি বার্তা”।  জে আর এ্যাগ্নেস   আসরের এক প্রতিভাময়ী কবি। স্বল্প কথায় কাব্যিক এক নিবেদনে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন চির আকাঙ্ক্ষিত শান্তির বাণী।  

যদি "অন্যকে ভালোবাস নিজের মতো"
তবেই হবে বন্ধ সংঘাত, হবে শয়তানের পরাজয়

একেবারে সঠিক দিশা দিলেন কবি। পৃথিবীর মহাপ্রাণ মনীষীগণ যুগে যুগে তাঁদের মহামূল্য জীবনের বিনিময়ে এই কথাই বলে গেছেন বারেবার। আমরা সবাই জানি সেই ইতিহাসের কথা। তাই, উল্লেখ করে শুধু শুধু আলোচনাটি দীর্ঘায়িত করতে চাইনা। আসলে “সবারে বাসরে ভালো নইলে মনের কালো ঘুচবে নারে”- এই মন্ত্র চিরন্তন। শাশ্বত। আর কবির এই চাওয়ায় সেই কথারই প্রতিধ্বনি যেন...

“শান্তি বার্তা” তাই চিরাচরিত প্রাকৃতিক শোভার বর্ণনা নয়, নয় প্রেম বা বিরহের উপাখ্যান। কবি এখানে খুঁজে পেতে চেয়েছেন মানবিক এক সুস্থিতির কথা। চেয়েছেন ভয়হীন এক জায়গার কথা। জয়গান গেয়েছেন প্রতিশোধপরায়ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের কল্যাণকর ভূমিকার কথা।  

“ধ্বংস বিনাশ ক্ষয় সেতো মানুষের কর্ম নয়।”  

আজকের হিংসাদীর্ণ পৃথিবীর বুকে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে। এর চেয়ে মূল্যবান কথা যে আর দুটি নেই সে কথা বলা যায় নিঃসন্দেহে।    

আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে এমন এক মূল্যবান কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

ভালো থাকুন কবি।
আন্তরিক শুভকামনা রইল।