পীড়িত কেউ নেই
শ্রাবনী সিংহ
পীড়নের পাড়ে দাঁড়িয়ে কবি বললেন, পীড়িত কেউ নেই! এমন অসাধারণ এক বৈপরীত্যের সমাবেশ ঘটাতে পারেন আসরের অসম্ভব প্রতিভাময়ী কবি শ্রাবনী সিংহ-ই একমাত্র।
অবাক করে দিলেন, চমৎকৃত হয়ে গেলাম, তাঁর অনুভবের বিচিত্র ভাবনায়। “শালমগ্ন সাঁঝ” কি অসাধারণ! কি অনন্য কাব্যিকতা! আলোহীন প্রায়ান্ধকার যেন অনাদি অনন্তকাল ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একজায়গায়! কার কাছে এমন অবকাশ আছে, এমন করে চির অপেক্ষায় অপেক্ষা করার!
যখন আমরা কারো কাছে যাই সহানুভবের বার্তা নিয়ে, সে প্রত্যাশা করে পেতে, আরও আরও বাড়তি অনেক কিছু। শীতার্তের কাছে শীত নিবারণী একটু আগুন নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে, প্রত্যুত্তরে তার চাওয়াটা থাকে আজীবন সঙ্গে পাওয়ার!
আসলে, দেওয়াটা যেন অপেক্ষাকৃত বড়ো এক পাওয়ার অপেক্ষায়! পাওয়াটা যেন আরও অনেক কিছু খোয়ানোর জন্যে! প্রকৃতপক্ষে সব কিছু যেন এক ইনভেস্টমেন্ট। তাইতো নরকে দাঁড়িয়ে স্বর্গের লোভ দেখানোর হাতছানি।
কবির অনুভবে তাই, প্রকৃত অর্থে পীড়িত কেউ নেই। পীড়নের ছুতোয় অপরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সবাই!
আবারও বলি, কবির বলার মুনশিয়ানায়, ছবি তৈরির দক্ষতায়, উপস্থাপনার অনন্যতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আশ্চর্য সুন্দর এমন কবিতার মায়ায় তাই, এক সমুদ্র ভালোলাগা রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
আন্তরিক শুভেচ্ছা নিরন্তর।