ফুলের স্বপ্ন (বিজয় দিবসের কবিতা)
- শ্রদ্ধেয় কবি অনুপ মজুমদার

   কিছু বলতে ইচ্ছা করলো আজ, শ্রদ্ধেয় কবি অনুপ মজুমদারের “ফুলের স্বপ্ন (বিজয় দিবসের কবিতা)”  কবিতাটি নিয়ে। তবু, বলতে গিয়েও... আবেগঘন সেই মুহূর্ত, সবকিছুকে ছাপিয়ে মনের কোণে প্রদীপ্ত হয়ে উঠে বারবার...১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। মনে পড়ে যায় সেই বহু প্রতীক্ষিত  ঐতিহাসিক ক্ষণ; ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনা...  
  
  বড়ো কঠিন এক সময়ের অভিঘাত ফিরে আসে বারবার। ধমনীর প্রতি ফোঁটা আজও বইছে সুদীর্ঘ নয়  মাসের  সেই  ভয়ঙ্কর কালো মুহূর্তের প্রতিটা রাত-প্রতিটা দিন। দুঃস্বপ্নের স্মৃতির পাতা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় আজও...

  তাই তো আজও জন্মভূমি মায়ের চোখের জল মোছানোর সেই শুভক্ষণ স্মরণ করি এবং করে যাবো   যতক্ষণ প্রাণবায়ু সচল থাকবে শিরায় শিরায়...  

হয়তো আবেগের বশে অনেক অপ্রাসঙ্গিক উঠে এল। যা বলতে গিয়েছিলাম, তা না বলে, অন্য বিষয়ে নিয়ে গেলাম পাঠককে; তবু, এমন কথাটাই শ্রদ্ধেয় কবিও যে গেয়ে চললেন সারাক্ষণ তাঁর সৃজিত অপূর্ব কাব্যকথায়-

                   “স্বপ্নে আমি দেখেছিলাম ঘাসে ঘাসে ছড়িয়ে দেবো শিশির
                   নিঃশ্বাসে মোর মুক্ত বাতাস আনবে ভোরে মুগ্ধ হৃদয় মিহির।  
                   বাংলা মায়ের আঁচল ভরা মাটির ভিতে ভালোবাসার বিজয়
                   থাকবে না ভয়, মুক্ত আমি, চিত্ত স্বাধীন, জীবন হবে মৃন্ময়।”  

  
  যেন তাই হয় কবি! কবির স্বপ্নভাবনা সাকার হয় যেন, এমন করেই। কায়মনোবাক্যে এমনটা যে আমরাও চাই।

“মহান বিজয় দিবসে” সমাজের বুকে ভয়হীন মুক্তভাবনা যেন এমন করেই শিশিরসিক্ত হয়।  এমন দিনের স্মরণে বরণে এটুকুই যে আমাদেরও একান্ত প্রার্থনা।
  
  এমন বিষয়কে নিয়ে বলতে গেলে আবেগ নির্ভর হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কাব্যিক সুষমা বজায় রাখা বড়ো দুরূহ ব্যাপার। তবে, বলা বাহুল্য, অভিজ্ঞ কবি, দেশাত্মবোধে উদ্দীপ্ত একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিক, উজ্জ্বল স্বাক্ষর এঁকে দিলেন তাঁর অনন্যসুন্দর প্রকাশ কথায়- অসাধারণ মুনশিয়ানায়।      

আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে এমন এক মনোরম কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।  

ভালো থাকুন কবি।
আন্তরিক শুভকামনা রইল।