ভালোবাসার অকুল বারিধি
কবি শ্রীতরুণ গিরি
“ফিরে আসে সুবুজ উপত্যকা
ভরে যায় পউষের শস্যক্ষেত
হলুদ উদ্ভাস বহে আনে গরম ভাতের ধোঁয়া
আবার হেসে ওঠে নবান্নের দেশ”
ভরে ওঠার সময় পউষের শস্যক্ষেত। জীবন খাতায় পূর্ণতার দিন তখন। তবে, এই সফলতার মাঝে জীবনের মূল্যবান অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। “আমাদের বয়েসের গাছে বাসা বাঁধে উচাটন পাখি।”
“আমরা একটু একটু করে বুড়ো হতে থাকি।”হ্যাঁ ঠিকই তো।আমরা সত্যিই,একটু একটু করে বুড়ো হতে থাকি প্রতিক্ষণে, প্রতিদিনে! সবুজ যেমন করে ঘর্মাক্ত দিন পার করে একটু একটু করে পক্ক হয়- পরিণত হয় হলুদ শস্যে। তেমন করে আমরাও এগিয়ে চলি জীবনের পথ বেয়ে। ফেলে আসা পথে শুধু,
“স্মৃতির বাক্স ভরে ওঠে পুরাতন ধার বাকি।”
শুধু, এই পথের ধারেই, পথ ধরেই যে কখনো জমা, কখনো বা খরচ শুধু।স্মৃতি সরণীর পাতায় পাতায় ফেলে আসা জীবনের হিসেব জমা হয় শুধু।
শরীর আর কাজ করে না আগের মতো। চোখে ছানি পড়ে স্বাভাবিক নিয়মের বশবর্তী হয়ে। তবে ভালোবাসার কোন পাড় নেই। নেই কোন সীমারেখা অকুল সমুদ্রের মতো। ছবি এঁকে চলি তাও, ছানিপড়া অকেজো চোখ দিয়েও।
“ফিরে আসে ভাঁটির দেশের নদী
আমরা একটু একটু করে বুড়ো হতে থাকি
ছানি চোখের অপেক্ষায় আঁকি ভালোবাসার অকুল বারিধি।”
সবুজ জীবন হলুদ হয় সময়ের চিরন্তনী মেনে। নিরন্তর সময়সরণী বেয়ে ভেসে চলি উজান থেকে ভাটির দেশে। তবে, ভালোবাসা স্রোতহীন হয় না কখনো। প্রেমের অকুলে ভেসে চলি তখনো...
ভালোবাসার চিরন্তনে মুগ্ধ করলেন প্রিয় কবি শ্রীতরুণ গিরি । কবিতার ভাবনায় এক নতুনত্বের বর্ণময় তুলির আঁচড় দিলেন কবি। বড়ো ভালো লাগলো আদ্যন্ত এক রঙিন কবিতা "ভালোবাসার অকুল বারিধি।"
ভালো থাকবেন কবি
আন্তরিক অভিনন্দন।