না কোন তত্ত্বকথা নেই। অতি সাধারণ, অতি চেনা নদীর কথা। আর তার সঙ্গে, চিরসঙ্গী নদীপাড়বাসী মানুষের কথা।  সত্যিই তো, এটা অচেনা নয়! এটা নিয়ে বৃথা বাক্যব্যয়ের কিই বা প্রয়োজন! চেনা জানা নিয়ে কথা বলার দরকার পড়ে না। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বয়ে চলা চিরন্তনকে নিয়ে কোন  অ্যাডভেঞ্চার বা চড়াই-উতরাই নেই। তাই, তা নিয়ে সাধারণের তেমন কোন উতসাহ থাকে না; সঙ্গত কারণেই । আর, সেই  চিরচেনায় যিনি অসাধারণ মুনশিয়ানায় রঙের মশাল জ্বালাতে পারেন, মোহিত  করতে পারেন, তাঁকে কুর্নিশ না করে আর কোন উপায় থাকে না!

   বয়ে চলা নদী আর তারসঙ্গে জড়িয়ে থাকা জীবন। দুটো অর্ধে বিভাজিত। একটি, সুখের-প্রেমের- ভালোলাগার-প্রাপ্তির। আর অন্যটি, দুর্বৃত্তের মতো-হানাদারের মতো নৃশংসভাবে, সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার।

  দুটো অর্ধেই সাবলীল তিনি। দীর্ঘ কবিতা হওয়া সত্ত্বেও কবিতাটিকে একবার পড়ে রেখে দেওয়া যায় না। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।  সহজ ছন্দে, মিষ্টি মধুর মেঠো সুরে ছলাত ছলাত করে শব্দেরা- শুধু  বেয়ে চলে সারা কবিতার শরীর জুড়ে; নদীর মতো।  

আলোচনায় কবির কবিতার একটিও লাইনের উদ্ধৃতি দিতে পারি নি। খসড়ায় রেখেছিলাম, পরে মনে হল কোন অংশ রাখবো! রাখতে হলে তো পুরো কবিতাটিই রাখতে হয়!
  
নাগরিক জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তির খোঁজ পেলাম শীতলপাটির ওপর বসে। ফেলে আসা শীতল ছাওয়া গ্রামের  গল্প শুনলাম যেন- যেন এক শীতল জলে অবগাহন করা। বড়ো শান্তির খোঁজ দিলেন প্রিয় কবি।  বড়ো তৃপ্তির সন্তুষ্টিতে মন ভিজিয়ে দিলেন তিনি।      

  প্রিয় কবি জাহিদ হোসেন রনজুকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই এমন মনোরম একটা কবিতা কবিতার আসরে উপহার দেওয়ার জন্য।