মাটির অভিধানে
- মহঃ সানারুল মোমিন(বিনায়ক)  


শব্দ,  যার অর্থ সাধারণের দৈনন্দিনে আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। অভিধান দরকার  হয়, তাই।  শব্দের  জট খোলার মন্ত্র জানে কেবল; একমাত্র অভিধান।  

রসকষহীন রুক্ষ মাটিই হল পৃথিবীর শরীর। সে শুধু কাজ করতে জানে। কাজ... কাজ আর শুধু প্রাণহীন কাজ! জীবনের চিরন্তনী সুর, প্রাণের মূর্ছনা, নদীর কলতান, সে শোনাবে কোথা থেকে! অথচ তার বুকের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই প্রার্থিত অমূল্য রত্ন। মূক অভিধানের শরীরে যেমন শব্দেরা অর্থ  নিয়ে বসে থাকে। শুধু খোঁজার চোখ নিয়ে, বোঝার ইচ্ছে নিয়ে, ধরতে চাইলেই কেবল, নিরেট শব্দেরা  ধরা দেয় প্রাঞ্জল হয়ে, তেমন করে প্রাণহীন মাটির বুকে কবিতারাও...  
  
                        “শুকনো মাটির গভীরে,                গভীরের অতি আঁধারে।
                             কবিতারা আছে প্রাণহীন মাটির বুকের অভিধানে।"

কবিতার এমন বাসস্থান সত্যিই অজানা ছিল। প্রিয় কবি - মহঃ সানারুল মোমিন(বিনায়ক)  তাঁর “মাটির অভিধানে” কবিতায় সেই ঠিকানায় পৌঁছে দিলেন আমাদের।  

আলোহীন-সুরহীন-প্রেমহীন এই বাস্তব রুক্ষ জগতে আজও কেউ সত্যিই যেন প্রেমের পিদিম জ্বেলে অপেক্ষায়...  

                                “আঁধারের নির্জন দেশে,     আজও নীরব ছদ্মবেশে।
                                প্রেমের পিদিম জ্বালায় এখনও কেউ প্রিয় গানে গানে।
                                   শুনি আজও সুর,              জাগে নির্জন দুপুর,
                                    আকার বিহীন ক্লান্ত ঝরনা ধারার কলতানে।
                              আজও আছে সুর ছন্দ কবিতা প্রিয় মাটির কোণে কোণে।"

প্রিয় কবি চেষ্টা করেছেন হদিস পেতে জীবনের এমন কিছু না পাওয়াকে। গভীর আঁধারে চেয়েছেন “পৃথিবীর  শরীর জ্যোৎস্নায়” মুড়ে দিয়ে কিছুটা হলেও আলোর সঞ্চার করতে।

সত্যিই হৃদয় আত্মহারা হওয়ার মতো কাব্য কথায় প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। বড়ো মনোরম সৃজনে একান্ত ভালোলাগার আবেশে মুগ্ধ করলেন তিনি।


ভালো থাকবেন কবি
আন্তরিক শুভেচ্ছা নিরন্তর।