কালকিনি কাব্য
প্রিয় কবি রহমান মুজিব

   কাব্য যেন কবিতার থেকে একটু বেশি। নিজস্ব এক সুরে, মনের তুলিতে ছবি আঁকতে আঁকতে, অন্তরঙ্গ  গল্পের  মধ্য দিয়েই, আপন মনে তার বয়ে চলা...  
  
   এমন এক মধুর অনুভূতি হল, ছন্দকবি রহমান মুজিবের “কালকিনি কাব্য” পড়ে।  
  
সামান্য পিঠে খাওয়ার সাধ; তাও মিটলো না! রিকশা চালিয়ে যার দিন গুজরান, তার শখ-আহ্লাদ এমন  করেই প্রতি পদে ঠোক্কর খায়। চালের পরে, তাল জোগাড় হয় তো, ডালের জোগাড় হয় না। চিনি তো দূর অস্ত!  

শীতের এই মরশুমে মেয়ের পিঠে খাওয়ার আবদার এমন করে মাঠে মারা যায়। তবু, আশা ছাড়ে না সে!
এমন করেই ‘কালকিনি’ শুধু এক সাধারণ জায়গা নয়, আগামী কালের আশা হয়ে মনের কোণে জেগে রইল।  

কালকিনি,না পাওয়া এক কাব্যকথা, এক করুণ কাহিনী হতে পারতো। তবু যেন সেই না পাওয়াটা  কালকের জন্যে, আগামীর স্বপ্নপূরণের জন্য তোলা থাকলো। হতদরিদ্র মানুষগুলো এমন করেই প্রতিদিন-প্রতিক্ষণ, না পাওয়ার কাছে, না হেরে, জিতবার আশা জিইয়ে রাখে কালকের জন্য-

                                       “বাড়ি আমার কালকিনি
                                      আজকে যেটা হয়নি কেনা
                                      আশায় থাকি কাল কিনি!”  

বড়ো মুনশিয়ানা লাগে, বড়ো দরদ লাগে, এমন কাব্য তৈরি করতে।
ছন্দের মায়া, গল্পের কথকতা দিয়ে নির্মিত এই কবিতা তাই, কবিতার চেয়ে বেশি, এক সার্থক কাব্য হয়ে রইল।  

বারবার পড়েও, সাধ না মেটার এমন মিষ্টি কবিতায় তাই সন্তুষ্টির আনন্দে ডুবে রইলাম।

ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
আন্তরিক শুভেচ্ছা নিরন্তর।