বলয়গ্রাস
প্রিয় কবি মায়িশা তাসনিম ইসলাম

   পুরোটা অন্ধকারে ঢাকে না। বলয়গ্রাস হয় যখন, কিছুটা আলো জ্বলে তখনো।

   এমন বৈপরীত্যের সমাবেশ, এমন আলো আঁধারে মেশানো, আমাদের সমাজ-সংসারও! শরীর-যৌনতা, প্রেম-অপ্রেম, জীবন-মৃত্যু, নিয়ম-বেনিয়ম, সব যেন মিলেমিশে রয়েছে একসাথে।  

    প্রয়োজন বা অনুশাসনের বাঁধনে নয়, শরীর যেন সুখের বাড়তি উপকরণ! প্রিয়তমা অন্ধকারকে নিয়ে প্রিয় কবি মায়িশা তাসনিম ইসলাম, হাজার আলোর আলোয় সাজিয়েছেন, তাঁর “বলয়গ্রাস” কবিতাটিকে।  

   কল্পনার অনবদ্য ভাবনায়, প্রকাশের অসাধারণ ভঙ্গিতে, বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়, যখন কবি বলেন;

“কেউবা মেঘের ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে আকাশের কবরস্থানে
চাঁদের মরা ঘাস হাসে যেসব কবরে, সেগুলো খুদে বের করতে চায় প্রিয়ার হাড়!”  
      
  স্পষ্টবাক কবি বারবার মুগ্ধ করেছেন তাঁর নির্ভীকতায়। অসামান্য প্রজ্ঞায়, কাব্যিক সুষমায় প্রমাণ রেখেছেন বারবার তাঁর অপূর্ব কবিতায়।  

“প্রিয়তমা অন্ধকার
একটি দীর্ঘতম রাত আমাকে অমাবস্যা শেখাতে আসলে আমি শীতের ভূমিতে পাঠ করি কাশবন।"

   নিকষ আলোহীনতা থেকে একরাশ উজ্জ্বল আলোয় আরোহণ করলাম আমরাও।

  মুগ্ধ হলাম।বড়ো ভালো লাগলো অনন্য কবিতায়।

ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
আন্তরিক অভিনন্দন এমন এক ব্যতিক্রমী আলোকময় কবিতার জন্য।