“বড় হতে হতে” কবিতাটির রচয়িতা প্রিয় কবি সাবলীল মনির।
  
একটা ছোট্ট কবিতা। প্রিয় কবির বক্তব্য বিষয়টা বুঝতে গেলে কেমন যেন গুলিয়ে যায়। রহস্যময়তায়  ঘেরা।  একবার মনে হয় এক রকম। পরক্ষণেই মনে হয় অন্যরকম। তবে, যেভাবেই  যে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি না কেন, সুন্দরী কবিতার সৌন্দর্য  কিন্তু সব সময়ে অটুট থাকে।

  সংসারে মহৎ হতে গেলে বড় হতে হতেই হতে হয়। তার মানে সব বড়ো মানুষ মহৎ নন।  বলা বাহুল্য, মহানতার  অনন্য  গুণ  সবার মধ্যে পাই না। আবার ছোটো বয়স বড় হতে হতে এগিয়ে যায় জীবনের পথে স্বাভাবিক নিয়মে বড় হওয়ায়।  

চাষ করেই ফসল পাওয়া যায়। তবে একই জমিতে একাধারে লাঙ্গলকে চাষের কাজে আবার বলদকেও,   লাগিয়ে কি লাভ? কি হবে শুধু শুধু? নিষ্ফলা এ কর্মের বারবার অপব্যয়?

বীজের উৎপাদন শক্তি সারাজীবন কার্যকরী থাকতে পারে না। জীবনচক্রের নিয়ম অনুযায়ী সেও অকার্যকর হয়ে যায় এক সময়।

  মূর্খ বলদ দিয়ে বারবার জমি কর্ষিত করলে সে জমি কোনো  ফলনই দেয় না- তা মাটির হোক বা মানবজমিন। অন্তসারশূন্য বীজ অনুকূল পরিবেশেও অঙ্কুরোদ্গমের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই, মিথ্যে পণ্ডশ্রম করে কোন লাভ হয় না। শুধু শুধু খেটে হয়রান হওয়া ছাড়া।

অবশ্য, কল্পনার চোখ দুটোকে জাগানো যায় যদি - যদি মানস চক্ষুতে যাওয়া যায় চিরন্তন প্রেমের সেই যমুনায়- অন্তর দিয়ে স্পর্শ করা যায় যদি- সেই অনাদি প্রেমের লীলাক্ষেত্র; তবে, আসবেই সেই  কল্পনার আকাশ- অবাস্তবের রূপোলী তারা- মাটিতে নেমে।

  বয়সের ভারে বড় হয়ে হাজার পণ্ডশ্রমে যাকে ছোঁয়া যায় নি; সেই বাল্যকালের রঙিন জগৎ, তখন  শেষ হবে না কোনদিন...

কবি বলতে চেয়েছেন, জীবনের পথে বড় হতে হতে আমরা স্বাভাবিক নিয়মেই বাল্যকালকে হারিয়ে বসি। হাজার চেষ্টা করেও পৌঁছোতে পারি না সেখানে। একমাত্র মনশ্চক্ষুতে ভর করে সবসময়ই থাকতে পারি রোমাঞ্চকর সেই সুন্দর চারণভূমিতে।
  
সুন্দর এই কবিতার জন্য প্রিয় কবিকে আন্তরিক অভিনন্দন।
ধন্যবাদ।