অ্যালবাম
কবি সুপর্ণা

অ্যালবাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটা ছবি। কয়েকটা মুহূর্ত... সময় ও কাল ভেদ করে পিছিয়ে গেল শুধু। তা ছাড়া আর কোন আলো নেই সামনে। আসলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হলে যেটা হয় আর কি! দিনের আলোর, সবটুকু শুষে... এক লহমায়, রাত্রির চেয়েও ঘোর অন্ধকার নেমে এল দিনের বেলাতেই!

আসরের এক প্রতিভাময়ী কবি সুপর্ণা “অ্যালবাম”-টি এঁকেছেন নিজের একান্তে...মনের নিভৃতে। না।  এতটুকুও আড়াল ভেদ করেন নি, তিনি। তবু, আন্দাজ করতে ইচ্ছে হল বড়ো। আর, তাই কবির অসাধারণ কবিতাটি নিয়ে বলতে চেয়ে, আলোচনায় আসা। জানি না, আশা পূর্ণ হবে কি না। তবু...  

সরাসরি বিষয়টাতেই যাওয়ার চেষ্টা করি তাহলে। এক সন্তান ধারনে অক্ষম মা গর্ভ ভাড়া নিলেন আর এক মহিলার। অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে, গোপন চুক্তির মাধ্যমে। "কাগজের নালিশ" বলতে  এমনটাই বুঝেছি। ভুল হলে, ক্ষমা করবেন প্রিয় কবি। আর, এই জন্মদাত্রী মা আর লোকসমাজের মা, এই লুকোচুরির মধ্যেই মুহূর্তগুলোর বুনন করলেন কবি।

সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী যেমন ঘোরে-যেমন তার আলোয় পৃথিবী আলোকিত তেমন সন্তানের আলোয় আলোকিত এই দুই মা। তবে, জন্মদাত্রী এই মায়ের সম্পর্ক কোনদিনই পৃথিবী জানতে পারে না। সবসময়ই, চাঁদ এসে মাঝখানে সমস্ত আলো শুষে নিয়ে সত্যকে আড়াল করে দেয়। তাই, বারবার জন্মদাত্রী মায়ের দূর থেকেই, নিষেধের বেড়াজালের বাইরে থেকেই সেই সন্তানটিকে দেখে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো রচিত... বারবার

এমনটাই মনে হল প্রিয় কবি। ভুল হলে সমস্ত দায় আমার। আপনার প্রেক্ষাপট জানার অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় কবি।

আর হ্যাঁ, প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন এক অসাধারণ ছায়াময় রহস্যে ঘেরা সুমিষ্ট এই কবিতার কাব্যগুণ এতটুকুও নষ্ট হবে না তাতে।

ভালো থাকবেন আপনি
আর, এমন করে অপরূপ কাব্যসুষমায় আমাদের মন ভরিয়ে দেবেন- এমনটাই আশা করি।