“হে পীরিত বেশ্যা
তোমার বিরহের সাগর অপবিত্র
ক্ষণকাল পূর্বে তোমার তরে যে অশ্রু ফোঁটা
সে সাগরে বিলিয়ে ছিলুম, আমি তা ফেরত চাই”।

“তবে ঝাঁপ দাও। দেখো, খুঁজে পাও কিনা।
এসব অশ্রু এখন আর সহ্য হয় না।
অসংখ্য ভালো মানুষের নিরেট করুণার দৃষ্টি
কেমন অনলের মত লাগে”।

“আর সে অনলে পুড়ে বুঝি শিহরিত হও”?

“তোমরা তা জান। তোমাদের জানবার কথা।
আমি শুধু বাঁচতে চাই।
প্রজাপতির পাখায়, রঙ্গে পুড়ে,
আমি শুধু বাঁচতে চাই”।

হঠাৎ লোকটি হিংস্রভাবে এগিয়ে এলো।
মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে, উক্ত অনলের সাগরে ছুড়ে ফেললো।
মেয়েটি মৃত্যুর মত, সজোরে ডানা ঝাঁপটায়।
অজস্র অশ্রু হয়ে ঝড়ের মত ঝরে পড়ে।

ঝড় থামল এক সময়।  
অনল সাগর এখন বিরহ হল, শান্ত হল।

লোকটি কিন্তু আজও তার অশ্রু ফোঁটার খোঁজ পায়নি।
স্বাভাবিক।

এরপর
লোকটি ঘুমোতে গেলো।
মেয়েটিও ঘুমাতে গেলো।
রোজকার মতই।