মা, তুমি হেসো,
আমি বসে থেকে দেখব।
আর ঠিক এভাবেই ভালবেসো।
তুমি হয়ত জানবে না, কিন্তু আমি সত্যিই ডুবে যাব,
সত্যিই মা, দেখো, ভেসে যাব আমি, সে হাসির প্রতিটি ধ্বনির প্রতিটি রসের সায়রে,
প্রতিটি আনন্দে আমার অবয়ব সানন্দে মিলিয়ে যাবে, সেটা রবে
হয়ত কোথাও, পৃথিবীর খুব নির্মম আর খুব একা এই প্রাচীরে
এঁকে দিয়ে বিদায় ফুল, খুব মুক্ত, খুব উষ্ণ, কিংবা খুব সরবে
কোথাও খুব নিখোঁজ, খুব নীলে... জানা নেই। তবে এটুক
জানি মা, ভীষণ অজানা কিছুতে এভাবে হারাবার
সুখটুকু খুব আমার হয়ে থাকুক
আজ। খুব আমার।
আর মা, অন্তত একটিবার তুমি থেকো আজ, হাসি, রঙ্গে, গানে।
দেখো নিমেষেই আমার সম্পূর্ণটা হবে কেমন আনন্দ মত।
তবে মা, এই যে এই রক্তমাংসের শরীর যেটা শুধু অসুস্থ হতে জানে,
একে আমি ঠিক বুঝি না। আর এই হৃদপিণ্ডের মত হৃদয়, এত
অদ্ভুত! এত অদ্ভুত! ......এর ছোট্ট কটা প্রকোষ্ঠে এত ঘৃণা
কি করে আসে মা......... মা এই বিপর্যস্ত আমিকে পারো তো তুমি ভুলে যেয়ো।
পৃথিবীর অজস্র তুচ্ছ ধুলোয় আমার জীবন ধূলিকণা
আসলে এক অহংকারী, বদমাশ রাজা। তবে তুমি যদি হাসো আজ মা, ঠিক দেখে নিও
আমি ভূমিষ্ঠ হব আবার।
এবার রক্ত মাংস নয়,
হয়ত আনন্দ, হয়ত সম্পূর্ণ রঙ, অনিবার
সুখ দিয়ে নির্মিত হবে আমার প্রতিটি কোষ, শরীর , মন, প্রতিটি ক্ষণ, পরিণতি, পরিণয়......
মা, তুমি হেসো, এই বেলায়, এই ক্ষণ
আর এই আমি বসে থেকে দেখব।
কিংবা মা, হয়ত......... হয়ত হতে পারে এমন
সেই মৃদু হাসির ক্ষণিক সৌন্দর্যের মোহে সহসা আমি বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যাব।
কিংবা সে স্নেহময় ধ্বনির আদর পরশ অত্যাচারে খুব কান্ত হয়ে আমি ভাসছি,
ভাসছি, ভাসছি কিংবা তোমার সেই
অবুঝ শিশুটি হয়ে এই আধবুড়োর দেহ মনে কেমন অবুঝের মতন হঠাৎ খুব জেগে উঠছি
উঠছি, উঠছি। যাই হোক মা তোমারই তো রবো। তাই এই
এখানে, আমি একা মা, বসে আছি,
কিচ্ছুটি তেমন চাইবার নেই
শুধু তুমি হেসো মা, হেসো তুমি, হেসো।