এক যে ছিল লম্বা চুলের রানী
তার ছিল না সুখের শেষ
সে বাঁধতো চুলে বেনী
তাকে লাগতো ভীষণ বেশ।
তার ছিল রুপের আলো
চাঁদও হতো ম্লান,
তারা তারে ডাকতো স্নেহে
"রূপকথা নাম।
তবে ছিল তার মন ভারী,
চোখে ছিল অশ্রুর রেখা,
রাজার সাথে বনিবনা
যেন ছিল কেবল দেখা।
রাণী সাজে, পরেও মুকুট
মনের দুঃখে চুপ,
দেখে সবাই ভাবতো যেমন
আসলে সে থাকতো ভীষণ কষ্টে ডুব।
রাণী ভাবলো মনে
এ জীবনে সুখ কোথায়,
রাজমহলেও মনের শান্তি
অধরাই রয়।
চুপিচুপি একরাতে তাই
রাণী গেলো নিরালায়,
ফেলে দিলো সোনার মুকুট
নিলো না আর রাজ সাজায়।
একাই চলছে পাহাড়ে বনে জঙ্গলে সাগরে
মাটির ঘাসে খালি পায়ে,
স্বাধীনতার স্বপ্ন পাখায় উড়ে
ভাসলো সে মুক্ত হাওয়ায়।
চুলের বেনী খুলে দিলো,
ঢেউয়ের মতো উড়লো চুল,
দেখলো তখন রাতের তারা
অবাক হয়ে শান্ত কূল।
অজানাতে পেলো সে খুঁজে
সত্যিকারের সুখের স্থান,
যেখানে ছিল না কোনো রাজা,
ছিল শুধু তারই প্রাণ।
সেই থেকে রূপকথার শেষে
রাণী হলো সত্যি সুখী,
আপন সুরে জীবন গাইলো
ভুলে গিয়ে দুঃখের গীতি।
নদীর স্রোতে, পাখির গানে,
বনজুড়ে হাসির ছোঁয়া,
রাণীর মনে ফুটলো আলো,
খুঁজে পেলো আপন মায়া।
রূপকথার সেই রাণী যেন
রয়ে গেলো স্মৃতির পাতায়,
সে হলো সুখের প্রতীক,
সবার মনে স্বপ্ন জাগায়।