ভক্তের সাথে ভগবানের মিলন বোঝানোর তীব্র অভিলাষে,
শ্রাবণী পূর্ণিমায় ঝুলন উৎসবেতে রাই শ্যাম সনে আসে।
ধর্মীয় দ্বাদশ যাত্রার মধ্যে একটি যাত্রা শ্রীকৃষ্ণের এই ঝুলন,
বর্ষা বিদায়ে শরতের আগমন উপভোগ করেন জনার্দন।
একাদশী থেকে পূর্ণিমার পূর্ণ তিথি পর্যন্ত চলে এই উৎসব,
যুগল দর্শন অভিলাষে ছুটে যায় সেথায় ভক্ত আছে যতোসব।
চন্দন শোভিত পুষ্প মাল্য গলে শ্যাম পাশে বসেন রাই,
জ্যোৎস্না মাখা রাতে অপরূপ রূপের মাধুরি যার তুলনা নাই।
ঝুলন যাত্রার মনোহারী দৃশ্য সজ্জিত যমুনার তটে তমাল শাখে,
শ্যাম প্রেমে তৃষিত রাই বিনোদিনী ভক্ত ভগবানে একই ডোরে বেঁধে রাখে।
শ্যাম সনে নাচে সবে হৃদয়ের ভক্তি সঁপে প্রাণ গোবিন্দ কৃষ্ণ চরণে,
লতায় ফুলে সজ্জিত ঝুলনে দোলে শ্যাম রাই নিধু বৃন্দাবনে।
নাচে শত গোপিনী, নাচে অষ্ট সখী, নাচে ময়ূর ময়ূরী,
পাগলিনী রাইয়ের তনুমন হিল্লোলিত হয় শুনিয়া বাসরী।
বাহুডোরে বেঁধে প্রেমের আবেশে ঝুলনে দোলে যুগল চরণ,
দুই বাহু তুলে জয় রাধে জয় গোবিন্দ বলে করবে ভক্তের ভক্তি নিবেদন।