বছর পাঁচেক আগে ভাবাই যেত না,
আর একটি লীলাখেলা বাকি আছে এই সমাজের -
বৃদ্ধ বয়সে দাম্পত্য জীবনের ছেদ !
জীবন সায়াহ্নে বিবাহ বিচ্ছেদ !
ঘটনা এক -
বিয়ের পর থেকেই স্বামী'র অত্যাচার ছিল খুব -
মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে খেয়েছে শুধু মার,
মেয়ে এখন ভাল চাকরি করে আমেরিকায় -
বৃদ্ধা বয়সে সাহসী হয়েছে সেই মহিলা - এখন ডিভোর্স চায় !
ঘটনা দুই -
সাতষট্টি বছরের প্রবীণ আর বাষট্টি বছরের স্ত্রী -
চল্লিশ বছরের বেশি দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন,
বলে কিনা; আর পারছি না। চাইনা যৌথ অন্ন !
ঘটনা তিন -
স্ত্রীর অত্যধিক সন্দেহবাতিকের জন্য -
সারা জীবনই বিধ্বস্ত ছিলেন ভদ্রলোক,
দুই মেয়ের বিবাহের পরে তিনি মুক্তি চাইছেন,
বাবা-র পাশে আজ মেয়েরাও দাঁড়িয়েছেন !
ঘটনা চার -
দুজনেই শিক্ষিত, দুজনেই ভাল চাকরি করতেন -
সাতচল্লিশ বছরের দাম্পত্যের শেষ,
মিউচুয়াল ডিভোর্স চেয়েছেন,
"জগৎ তাদের আলাদা" - আদালতে দুজনেই বলেছেন।
বিবাহিত জীবনে তিতিবিরক্ত -
কখনও পরিস্থিতির চাপে বা সিদ্ধান্তহীনতায়,
কখনও আর্থিক কারণে বা সন্তানের ভবিষ্যত ভাবনায় -
হয়তো বাঁধন কাটাতে পারেননি জীবনের মধ্যবেলায় !
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন আর সীমাহীন অত্যাচারে,
নিপীড়িতা, শোষিতা - স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিতা,
মুক্তির চাহিদায় ! আপসহীন আজ - আদালতে !
বলে - "তুমি ভালো থেকো" দাঁড়িয়ে জীবনের সীমান্তে।
ওগো সৃষ্টিকর্তা; তুমি সকলকে ভালো রেখো।