আমাদের বাংলা কবিতা আসরে (বাংলা কবিতা ডট কম এ)  যাঁরা লেখালিখি করি, আমরা প্রায় সবাই সৌখিন কবি ! কেননা এখানকার বেশির ভাগ কবিদের পেশা আলাদা, কবিতা লেখা একটি নেশা মাত্র। কিন্তু সবাই সৌখিন ! তাই নয় কি।

সময়াভাবে আমার কবিতা লেখা হয়ে উঠছিলোনা, তাই আমি এখন নিয়মিত লেখা পোস্ট করতে পারছি না। কিন্তু সময় পেলে ঢু মেরে যাই, প্রিয় লেখকদের কবিতা গুলো পড়ে নিই। সবেতে মন্তব্য করতে ও সময় পাইনা, সেটা আমার দুর্বলতা।

ইদানিংকালে লক্ষ্য করছি; কবিতার আসরে কবিদের মধ্যে অকাজে - কুকাজে বেশ লড়াই চলছে। কাউকে ছোট করা / অসম্মান করা / কু-রুচিপূর্ন মন্তব্য করা (অর্থে কু-মন্তব্য !) / বিভ্রান্ত করা ইত্যাদি নানা খেলা চলছে। আসরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু কি করি - ভেবে পাচ্ছিলাম না।

দেখলাম আলোচনায় অ-কথা / কু-কথা / অভিমান / কু-রুচি / সুরুচি / অকবি / সু-কবি নানা বিষয়ে লেখালিখি করে অযথা সময় নষ্ট করে বিশাল পরিমান পাঠকবর্গকে অনুতসাহিত করা হচ্ছে। কবিরা কাব্য চর্চা করুক - এটা খুব ভালো কথা। এডমিন আমাদের কতবড় একটা সুযোগ দিয়েছেন । তাঁকে আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও পরম শ্রদ্ধা জানাই।

পাঠক পড়লে পড়ুক / না পড়লে না পড়ুক - পাঠককে আমন্ত্রণ জানানো কোনো খারাপ লক্ষণ ও নয়, তাঁর লেখা পাঠক পড়ছেন না / পাঠকের মন্তব্য সংখ্যা কম - এই মনোভাব নিয়ে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা কোনো কবিদের কাছে কাম্য বা প্রত্যাশা নয়। ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরা, অন্যের কাছে ভালোটা পাওয়া / শিখে নেওয়া তিনি করতেই পারেন। অনেক অনেক কবিতা পড়ে জ্ঞানার্জন করতেই পারেন - শিখতে পারেন / লিখতে পারেন, অনেক কিছু পেতে পারেন (নাম - যশ- সুখ্যাতি - সমৃদ্ধি) ।

কবি কিংবা পাঠক সকলেই আমার কাছে গুনীজন। আমি আলোচনায় লেখা না দিয়ে ছোট্ট একটি নীতিকাব্য রচনা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি জানি সবার কাছে সময় নেই (সময় মহামূল্যবান অন্যদিকে সময় মহাবলবান), তাই আসরে কবিতার তালিকায় যখন " সহিষ্ণুতাই গুনী'র করে পরিচয় বহন" নামক কবিতার এই লাইনটা কোনো পাঠক লক্ষ্য করে পাঠ করবেন (তিনি সৌখিন কবি কিংবা সৌখিন পাঠক হতেই পারেন), তিনি কবিতাটি পাঠ না করেও নীতি বাক্যটি মনে করবেন একবার, এবং তৈরী করবেন নিজেকে হয়ত। তাই ..

আসরে পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য আমার সামান্য প্রয়াস মাত্র। সবাই ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন - এই আমার প্রার্থনা সবার কাছে / মঙ্গলময়ের কাছে / আল্লার কাছে / যীশুর কাছে / ভগবানের কাছে ।
কেউ যদি আমার সর্বস্য ধ্বংস করে তবুও আমি কারুর অনিষ্ট কামনা করব না - এই আমার প্রতিজ্ঞা।

** উপরোক্ত লেখাটি কবি শ্রী সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের  মন্তব্যের উপর আমার প্রতি মন্তব্য।  এই লেখাটি  আলোচনা সভায় প্রথমে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না - কিন্তু পরে ভাবলাম দিয়েই দিই।  ঠিক কি বেঠিক পাঠকবর্গই মূল্যায়ন করুক।  

---------------------------------------
সহিষ্ণুতাই গুনী'র করে পরিচয় বহন।
---------------------------------------
মানুষ হয়ে জন্ম অনেকের  - হয় কর্মগুণে গুনী!
সুবিচার সকলের করেন যাঁরা  - তাঁরা হন নয়নেরমণি।

পরের সুখে সুখী আর পরের দু:খে দু:খী,
তাঁদেরই দেখানো পথে - আমরা চলতে শিখি।

পরের জন্য জীবনযাপন - পরের সুখে জীবনদান,
তাঁরই জীবন ধন্য আর বৃদ্ধি মানসম্মান।

অজ্ঞান ব্যক্তি'র - অজ্ঞতা আর ক্রোধ'ই প্রধান লক্ষণ,
অবান্তর প্রশ্ন - গুনী ব্যক্তি ঈর্ষা-বৈরিতা হতে করে পলায়ন!

গুনী ব্যক্তি হয় কি কখনো প্রতিহিংসাপরায়ন!
সহিষ্ণুতাই গুনী'র করে পরিচয় বহন।

**********************************
ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন, সুস্থ থাকুন  -  এই প্রার্থনা করি।
সবাইকে আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই।