ক্ষণকালের এ অবনীপারে
সীমাহীন এ মহাশূন্যে
মায়াহীন মম এ হৃদ্বয়ে,
হে অনন্যা তুমি যে
আমার এ মৃতধামে
আমার এ মরু বক্ষে
শুষ্ক মম এ জীবনতটে
যোগালে যেন সঞ্জীবনী।

ফোটালে হেথায় আশার নীলোৎপল,
ভাসালে যেন মায়ার তরণে
এ কোন মহান অসীম স্মরণে,
ফেলেছো যেন মহা ভাবনায়
জাগালে মম অনন্ত চেতনায়।

জান কি অনন্ত হে?
তব চাহনী কি অপলোকে
দিয়েছো কি এ আমাতে
নিয়োছো কি আমা হতে;
অমূল্য অমৃত সে
অসীম ও অনন্ত যে।
অপার যেন জীবন সায়রে
অমৃত যেন মৃতধামে
জোতীর্ময় সে স্বর্গীয়ালোকে।

অপলক তব পলকে হায়
কি মায়া আর কি পবিত্রতায়‍!
প্রশান্ত কি অপরুপ স্নিগ্ধতায়
স্বর্গীয় কোন অসীম মহীমায়,
কি আছে যে লুকায়ে সেথায়?
বোঝাতে আজি না পারি তোমায়,
কি যে দুঃখ মম হেথায়
ভাষার দ্বীনতা আমারে কাঁদায়।

শুষ্ক এ হৃদ্বয় কাননে
জীবনবিহীন এ জীবাশ্মে
ফোটালে যেন অমৃত ফুল,
সজীব করিলে যে
মম জীবনের কূল;
তাই যে তুমি মায়ার খনি
অমৃত অশেষ সঞ্জীবনী।



রচনা কাল: ২৮শে শ্রাবণ, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ/১২ই আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং
স্থান: সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা।