ক্ষমা করো মোর সকল ভ্রান্তি
হৃদ্বয় মাঝের ভাবের শ্রান্তি
জমেছে সকল-কর্মের ক্লান্তি
যদিও আমি সবার অশান্তি।
ভাঙবো না কারো সুখের শান্তি
কখনো যদিগো পারি জানতি
বুঝতে পেরেছো মম প্রকৃতি
তাতেই আমার অশেষ প্রশান্তি।
হারিয়ে ফেলেছি সকল কিছু
ছুটেছি আজিকে তোমার পিছু,
জানি তব হৃদ্বয়টি বড় উঁচু
সেথায় মায়াময় যা কিছু
সবই তার একা পেতে ইচ্ছু
যদিও চাওয়াটি মম অনেক নিচু।
ভেবনা মোরে ভুল ভেবনা
তুমি যে মম অসীম সাধনা
আমার সকল দুখের যাতনা
হৃদ্বয় মাঝের সকল বেদনা
মিলিয়ে যায় কোথায় জানিনা
কখনো কি তুমি বুঝেও বোঝনা।
মম বুকে জ্বালালে কেন
আশার শত প্রদীপ যেন
কতটুকুই বা আমারে চেন
আমি যে অতি তুচ্ছ হেন।
ভুলি যেন আজ সবই ভুলি
ফুটেছে কন্ঠে নিরাশার বুলি
নদীতে নৌকা চলে ঐ পাল তুলি
শরতের শ্বৈত-শুভ্র কাশ ফুলগুলি
তা যেন স্মৃতিপটে এঁকে চলি
ফুলে ফুলে যে ঘোরে অলি
সে মায়াতে বিভোর ফুল-কলি
তাতেতো কেহ কিছু না বলি
এ-কি মোর একার হেয়ালী
তাইযে সবারে এড়ায়ে চলি
তবুও কেন তব মায়াতে ভুলি।
দেখেছি অনেক দেখিবো কত
কেহই নয়কো তোমার মতো
করেছো আমার হৃদ্বয় ক্ষত
মায়ার পুলকে অবিরত;
করো যদিগো ইতস্তত
কখনও চাওবা ভুল বশত
আমার কোন ক্ষোভ নাহিতো
এতেই আমি অনেক আশ্বস্ত
জানিনে কেন তব অশান্তি
অনেক হয়েছে আমার প্রাপ্তি
ভেঙেছো মম সকল ভ্রান্তি
এতেই যেনগো অশেষ প্রশান্তি।
================
রচনাকাল ও স্থান: ০২/০৫/১৪০৫ বঙ্গাব্দ
১৭/০৮/১৯৯৮ ইং; সরকারী শহীদ কলেজ, ঢাকা।