হাসি-আনন্দের মত্তধামে
দেখবে না আর কোনখানে,
গল্প কবিতা কোন গানে
ভাসবো না তব মায়ার বানে।

কি হবে বলো থেকে এখানে
না বুঝিলে ইহার মানে,
থেকো তুমি যে স্বসম্মানে
এটাই চাহি যে মনে-প্রাণে,
এমন করে আর ক'জনে
বলোগো তোমারে এমন জানে?

থাকো মোর সকল ধ্যানে
স্বর্গ-মত্ত্ব সকলখানে
থাকবে না কেউ আমার নামে,
থাকবেনা কেউ ডানে-বামে
তব পৃথিবীর কোনখানে,
ডাকবে না কেউ অভিমানে
জান বলে ঐ মধুর নামে
যাবো যে আমি অমরধামে।

ভেবেছি তোমায় কতখানি
তোমাকে মম আত্মামানি,
তব মায়ায় করেছো ঋণী
কত পবিত্র তোমারে জানি,
ভেবেছো কখনো একটুখানি
তুমি যে মম বড় অভিমানি
তোমারে করিবো না অসম্মানী।

করেছি চেষ্টা কতো শত
কেঁদেছি কেবলই অবিরত,
হারিয়ে ফেলেছি সকলই যত
যা ছিলো কাছে মোর হীরের মত,
দেখেছো কোথাও আমার মত
প্রেমাবেগ বাণে এমন উম্মত্ত
তাই যে বলে মোরে অসংযত।

অধম আমি, অবোধ আমি
হয়েছি আজি বড়ই অসংযমি,
স্বর্গালোক হতে যে তুমি,
ছিনিয়ে নিয়েছো হৃদ্বি-অন্তরখানি
করেছো পবিত্র আবেগ-প্রেমী;
হবে তুমি অনেক নামী
অনেক মূল্যে-অনেক দামী
বোঝাও তাঁরে জগৎস্বামী
সে যে আমার অন্তর্যামী।

রয়েছো মম এই অন্তর মাঝে
মিশে গেছো যে অস্থিমজ্জায়,
চাই না তোমায় ফুল সজ্জায়,
রয়েছো মোর নয়নমাঝে
সকাল-দূপুর, সন্ধ্যা-সাঁঝে
রাত্রি-প্রহর মধ্য রাতে,
হাজার লোকের ভীড়ের মাঝে
মম আকাশের শুণ্যতাতে
থাকবে আমার সকল কাজে
নিয়েছো যা তুমি আমা হতে
পারবে কি সবটাই তার ফিরিয়ে দিতে?
পারবে কি তুমি কেড়ে নিতে
জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিতে?
জানােনা তুমি জানোনা যে
মিশে গেছো যে তুমি এ আত্মাতে।

তুমি যে মম অন্তরাত্মা
যেন গো মোর সকল স্বত্ত্বা,
দিয়েছেন তোমারে কি যে কর্তা!
কেহই জানে না এই বার্তা
দেবে না জানি আমারে পাত্তা
পেয়েছি কেবলই অন্ধস্বত্তা।

থেকো যেন গো সুখে ও আনন্দে
অনেক বিলাস অনেক আরামে
ভিক্ষে মাগি আশীষ কামে
ডেকেছি তোমায় অনেক নামে
পেয়েছি যেন অনেক দামে,
বিদায় মাগি খোদার নামে
থাকবো না আর বিশ্বধামে
যাবো যে আমি অমরধামে।

রচনাকাল ও স্থান:৩রা ভাদ্র ১৪০৫ বঙ্গাব্দ, ১৮ই আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং;
সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা।